যীশু মহাযাজকের দাসের কান আরোগ্য করেন

যীশুকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তাঁর শিষ্যরা আতঙ্কে ভীত, আর পিতর কোথাও থেকে একটি তরবারি বের করে মল্কের কানে আঘাত করে তা কেটে ফেললেন। এই ব্যক্তি, মল্ক, গ্রেফতারকারীদের সঙ্গে এসেছিলেন, কারণ তিনি মহাযাজকের দাস ছিলেন। তিনি হয়তো কখনোই ভাবেননি যে এই মর্মান্তিক রাতে তিনি নিজেই কোনো অলৌকিক কাজের অভিজ্ঞতা পাবেন—তবুও, পিতরের আঘাতে পরিষ্কারভাবে একটি কান কাটা পড়ে যাওয়ার পর, যীশু তাঁর দিকে হাত বাড়ালেন এবং তাঁর কানকে পুনরাই আগের মতো করে দিলেন!

শুধুমাত্র যীশুই এমন এক অন্ধকার মুহূর্তে কাউকে সুস্থ করতে পারেন। আমাদের মধ্যে কেউই এমন সময়ে অন্য আর কারও কথা ভাবতাম না। কিন্তু যীশু বিন্দুমাত্র দ্বিধা না করে সেই রক্তাক্ত ও আহত ব্যক্তিকে স্পর্শ করলেন, তাঁকে সুস্থ করলেন, তাঁর সেই নির্মম ক্রুশে নিজের স্থান নেওয়ার আগে।

সেই সময়ে তাঁর পক্ষে একটি মানুষও কথা বলেনি। একজনও না। যীশু যতজনকে আরোগ্য করেছিলেন ও মুক্ত করেছিলেন তাদের মধ্যেও কেউ না। তিনি একা পড়ে গেলেন, প্রহারিত হতে, বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হতে, অবমানিত ও নির্যাতিত হতে—সবই আমাদের জন্য। যেন আমাদের পাপ তিনি নিজের উপর নিতে পারেন, আমাদের অপরাধ নিজের উপর স্থানান্তর করতে পারেন, যাতে আমরা দোষমুক্ত হতে পারি। আশ্চর্য!

আপনি কখনোই ঈশ্বরের কাছে বিরক্তিকর নন। সমগ্র পৃথিবী বিশৃঙ্খলায় ভরা থাকলেও আপনি তাঁকে ডাকতে পারেন, আর তিনি উত্তর দেবেন যেন আপনিই একমাত্র তাঁর নাম ধরে ডেকেছেন। আপনার প্রয়োজন অন্যদের তুলনায় তুচ্ছ বা ছোট মনে হলেও, তবুও আপনাকে তাঁর কাছে আবেদন করতে হবে যেন তিনি আপনার জীবনে হস্তক্ষেপ করেন ও সাহায্য করেন।

যদি আপনি কখনও কিছু না চান এবং তাই না পান, তাহলে কী হবে? যদি আপনি মনে করেন, এই দুঃখে ভরা পৃথিবীর মাঝে তিনি আপনার কষ্ট দেখতে পাবেন না, তাই তাঁর ওপর নির্ভর করেন না—তাহলে?

ঈশ্বর কখনোই আপনার জন্য এত ব্যস্ত নন—আপনি তাঁর অমূল্য সন্তান! তিনি ক্লান্তি বা অসুস্থতার কারণে ঘুমান না বা নিদ্রাচ্ছন্ন হন না। তিনি সর্বশক্তিমান এবং সর্বদা উপস্থিত। প্রশ্ন হলো, আপনি কি তাঁর ওপর ভরসা করবেন? আপনি কি তাঁকে ডাকবেন?