ইফিষীয় ভূমিকা

ভূমিকা
ইফিষীয় মণ্ডলীর নিকট প্রেরিত পৌলের এই পত্র লিখিবার মূল উদ্দেশ্য ছিল, সমগ্র সৃষ্টির পরিত্রাণের জন্য ঈশ্বরের পরিকল্পনা মণ্ডলীকে অবগত করা। “তাঁহার সেই হিতসঙ্কল্প অনুসারে যাহা তিনি কালের পূর্ণতার বিধান লক্ষ্য করিয়া তাঁহাতে পূর্বে সঙ্কল্প করিয়াছিলেন। তাহা এই, স্বর্গস্থ ও পৃথিবীস্থ সমস্তই খ্রীষ্টেই সংগ্রহ করা যাইবে” (১:১০)। সেই সঙ্গে পৌল এই পত্র দ্বারা ইফিষীয় মণ্ডলীর খ্রীষ্টভক্তদের নিকটে আবেদন জানাইয়াছেন, যেন তাহারা প্রভু যীশুর সহিত একাত্মতার মাধ্যমে সর্বমানবের সহিত ঐক্যবদ্ধ হইয়া বাস্তবে আপনাদের জীবনাচরণে এই পরিকল্পনাটিকে সত্যে পরিণত করিতে সক্ষম হয়।
এই পত্রের প্রথম অংশে পৌল তাঁহার পত্রের মূল বক্তব্য ঐক্য প্রসঙ্গে সেই পক্ষের কথা বলিয়াছেন, যাহার দ্বারা পিতা ঈশ্বর তাঁহার প্রজাদের মনোনয়ন দান করিয়াছেন, কিভাবে তাঁহার সেই প্রজারা ক্ষমালাভ করিয়াছে, কিভাবে তাঁহার পুত্র যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে পাপের কবল হইতে মুক্তি লাভ করিয়াছে এবং কিভাবে ঈশ্বরের মহান প্রতিশ্রুতি পবিত্র আত্মা দ্বারা সুনিশ্চিত হইয়াছে। পত্রের দ্বিতীয় অংশে পাঠকদের নিকটে তিনি আবেদন জানাইয়াছেন যেন তাহারা এমনভাবে জীবনযাপন করে যাহাতে তাহাদের ঐক্যবদ্ধ জীবনে খ্রীষ্টের সহিত একাত্মতা বাস্তবে রূপায়িত হয়।
খ্রীষ্টের সহিত একাত্মতায় ঈশ্বরের প্রজাদের একাত্মতাকে বুঝাইবার জন্য পৌল কতকগুলি বাক্যালঙ্কার ব্যবহার করিয়াছেন, যেমন- মণ্ডলী একটি দেহস্বরূপ এবং খ্রীষ্ট সেই দেহের মস্তক, খ্রীষ্ট অট্টালিকার কোণের প্রধান প্রস্তর আর মণ্ডলী খ্রীষ্টের স্ত্রী স্বরূপ। খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বরের অসীম করুণার কথা বলিতে গিয়া পৌলের চিন্তাধারা এমন এক পর্যায়ে উন্নীত হইয়াছিল যাহার ফলে পত্রটি অত্যন্ত উচ্চস্তরের উৎকর্ষতা লাভ করিয়াছে। এই পত্রে সব কিছুকেই খ্রীষ্টের প্রেম, ত্যাগ, ক্ষমা, অনুগ্রহ এবং পবিত্রতার আলোকে দেখানো হইয়াছে।
বিষয়বস্তুর রূপরেখা:
ভূমিকা - ১:১-২
খ্রীষ্ট এবং মণ্ডলী - ১:৩—৩:২১
খ্রীষ্টে নূতন জীবন - ৪:১—৬:২০
উপসংহার - ৬:২১-২৪

های‌لایت

به اشتراک گذاشتن

کپی

None

می خواهید نکات برجسته خود را در همه دستگاه های خود ذخیره کنید؟ برای ورودثبت نام کنید یا اگر ثبت نام کرده اید وارد شوید