YouVersion Logo
Search Icon

আইয়ুব ভূমিকা

ভূমিকা
আইয়ুব নামে কিতাবটির বিষয়বস্তু হল মানুষের কষ্ট পাবার রহস্য ও যন্ত্রণা ভোগের সমস্যা। এই কিতাবটির মধ্য দিয়ে আমরা হযরত আইয়ুব (আঃ)-এর ধৈর্য এবং আল্লাহ্‌র মমতা ও রহমত সম্বন্ধে জানতে পারি। হযরত আইয়ুব (আঃ) ছিলেন তাঁর নিজের পরিবারের ইমাম এবং অনেক পশুপালের মালিক। তিনি অনেক দিন বেঁচে ছিলেন যা এখন স্বাভাবিক নয়। এই সব থেকে বোঝা যায় যে, হযরত আইয়ুব (আঃ)-এর জীবন যাপন অনেকটা হযরত ইব্রাহিম (আঃ)-এর সময়কার জীবন যাপনের মত। অনেক পণ্ডিত ব্যক্তি বলেন যে, হযরত আইয়ুব (আঃ) ছিলেন হযরত ইব্রাহিম (আঃ)-এর আগে। হযরত আইয়ুব (আঃ) প্যালেষ্টাইন দেশের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে আরব দেশের মধ্যে বাস করতেন। হিব্রু ভাষায় লেখা আইয়ুব নামের কিতাবটি নাটক হিসাবে কবিতার আকারে লেখা হয়েছিল। সেই নাটকের বিশেষ বিশেষ চরিত্রে ছিলেন হযরত আইয়ুব (আঃ) ও তাঁর চারজন বন্ধু (ইলীফস, বিল্‌দদ, সোফর ও ইলীহূ)। তাঁদের মধ্যে তিনজন বয়স্ক বন্ধু পালা পালা করে হযরত আইয়ুব (আঃ)-এর কষ্টের সমস্যা নিয়ে তাঁর সংগে আলোচনা করেছিলেন; কিন্তু চারজন বন্ধুর মধ্যে অল্প বয়স্ক বন্ধুটি উত্তেজিত হয়ে তাঁর মতামত জানাবার জন্য বয়স্কদের কথায় বাধা দিয়েছিলেন। এই নাটকের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল শেষের দিকে যখন আল্লাহ্‌ পাক নিজে তাঁদের সকলের কথায় বাধা দিয়ে সোজাসুজি হযরত আইয়ুব (আঃ)-এর সংগে কথা বলেছিলেন।
বিষয় সংক্ষেপ:
(ক) হযরত আইয়ুব (আঃ)-এর পরীক্ষা (১ ও ২ রুকু)
(খ) হযরত আইয়ুব (আঃ) ও তাঁর বন্ধুদের মধ্যে তর্কাতর্কি (৩-৩১ রুকু)
(১) প্রথম পর্বের বক্তৃতা (৩-১৪ রুকু)
(২) দ্বিতীয় পর্বের বক্তৃতা (১৫-২১ রুকু)
(৩) তৃতীয় পর্বের বক্তৃতা (২২-৩১ রুকু)
(গ) ইলীহূর বাধা দান (৩২-৩৭ রুকু)
(ঘ) আল্লাহ্‌র নিজেকে প্রকাশ (৩৮:১-৪২:৬ আয়াত)
(ঙ) হযরত আইয়ুব (আঃ)-এর জয়লাভ (৪২:৭-১৭ আয়াত)

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in