YouVersion Logo
Search Icon

১ বাদশাহ্‌নামা 9

9
মাবুদের সামনে বাদশাহ্‌ সোলায়মান (আঃ)
1এইভাবে সোলায়মান মাবুদের ঘর, রাজবাড়ী আর নিজের ইচ্ছামত যে সব কাজ করতে চেয়েছিলেন তা শেষ করলেন। 2তারপর মাবুদ দ্বিতীয়বার তাঁকে দেখা দিলেন যেমন গিবিয়োনে একবার তাঁকে দেখা দিয়েছিলেন। 3মাবুদ তাঁকে বললেন, “তুমি যে মুনাজাত ও অনুরোধ আমার কাছে করেছ তা আমি শুনেছি। তোমার তৈরী এই এবাদত-খানাটি চিরকাল আমার বাসস্থান হিসাবে পবিত্র করেছি। এর উপর সব সময় আমার চোখ ও মন থাকবে।
4“আর তুমি, তুমি যদি তোমার পিতা দাউদের মত খাঁটি দিলে, সৎভাবে আমার সামনে চল এবং আমার সব হুকুম, নিয়ম ও নির্দেশ পালন কর, 5তবে আমি চিরকালের জন্য ইসরাইলের উপর তোমার রাজসিংহাসন স্থায়ী করব। এই কথা আমি তোমার পিতা দাউদকে ওয়াদা করে বলেছিলাম, ‘ইসরাইলের সিংহাসনে বসবার জন্য তোমার বংশে লোকের অভাব হবে না।’
6“কিন্তু যদি তোমরা কিংবা তোমাদের সন্তানেরা আমার কাছ থেকে ফিরে যাও এবং তোমাদের কাছে দেওয়া আমার হুকুম ও নিয়ম পালন না করে দেব-দেবীর সেবা ও পূজা কর, 7তবে বনি-ইসরাইলদের যে দেশ আমি দিয়েছি তা থেকে আমি তাদের দূর করে দেব। এই যে এবাদত-খানাটি আমি আমার বাসস্থান হিসাবে পবিত্র করেছি সেটাও আমার চোখের সামনে থেকে দূর করে দেব। তখন ইসরাইল অন্যান্য সব জাতির কাছে টিট্‌কারির ও তামাশার পাত্র হবে। 8এই এবাদত-খানাটি এখন মহান হলেও তখন যারা তার পাশ দিয়ে যাবে তারা চম্‌কে উঠবে এবং ঠাট্টা করে বলবে, ‘কেন মাবুদ এই দেশ ও এই এবাদত-খানাটির প্রতি এই রকম করলেন?’ 9এর জবাবে লোকে বলবে, ‘এর কারণ হল, যিনি তাদের পূর্বপুরুষদের মিসর দেশ থেকে বের করে এনেছিলেন সেই পূর্বপূরুষদের মাবুদ আল্লাহ্‌কে তারা ত্যাগ করেছে। তারা দেব-দেবীর পিছনে গিয়ে তাদের পূজা ও সেবা করেছে। সেইজন্যই মাবুদ এই সব বিপদ তাদের উপর এনেছেন।’ ”
বাদশাহ্‌ সোলায়মান (আঃ)-এর অন্যান্য কাজ
10মাবুদের ঘর ও রাজবাড়ী তৈরী করতে সোলায়মানের বিশ বছর লেগেছিল। 11টায়ারের বাদশাহ্‌ হীরম সোলায়মানের ইচ্ছামত এরস ও বেরস কাঠ ও সোনা যুগিয়েছিলেন বলে বাদশাহ্‌ সোলায়মান গালীল দেশের বিশটা গ্রাম তাঁকে দান করলেন। 12হীরম সেই গ্রামগুলো দেখবার জন্য টায়ার থেকে আসলেন, কিন্তু সেগুলো দেখে তিনি সন্তুষ্ট হলেন না। 13তিনি সোলায়মানকে বললেন, “ভাই, এগুলো কি রকম গ্রাম আপনি আমাকে দিলেন?” তিনি সেগুলোর নাম দিলেন কাবূল দেশ (যার মানে “কোন কাজের নয়”)। আজও সেগুলোর সেই নামই রয়ে গেছে। 14হীরম মোট সাড়ে চার টনেরও বেশী সোনা বাদশাহ্‌কে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
15বাদশাহ্‌ সোলায়মান মাবুদের ঘর, নিজের রাজবাড়ী, মিল্লো, জেরুজালেমের দেয়াল, হাৎসোর, মগিদ্দো ও গেষর তৈরী করবার জন্য অনেক লোকদের কাজ করতে বাধ্য করেছিলেন। 16এর আগে মিসরের বাদশাহ্‌ ফেরাউন গেষর অধিকার করে সেটা আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিলেন আর সেখানকার বাসিন্দা কেনানীয়দের হত্যা করেছিলেন। পরে তিনি জায়গাটা তাঁর মেয়েকে, অর্থাৎ সোলায়মানের স্ত্রীকে বিয়ের যৌতুক হিসাবে দিয়েছিলেন। 17সেইজন্য সোলায়মান গেষর আবার তৈরী করে নিয়েছিলেন। এছাড়া তিনি নীচের বৈৎ-হোরোণ, 18বালৎ, এহুদার মরুভূমির তামর, 19তাঁর সমস্ত ভাণ্ডার-শহর এবং রথ ও ঘোড়সওয়ারদের জন্য শহর তৈরী করলেন, অর্থাৎ জেরুজালেম, লেবানন ও তাঁর শাসনের অধীনে যে সব রাজ্য ছিল সেগুলোর মধ্যে যা যা তিনি তৈরী করতে চেয়েছিলেন তা সবই করলেন। 20-21যারা ইসরাইলীয় ছিল না, অর্থাৎ যে সব আমোরীয়, হিট্টীয়, পরিষীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয়দের বংশধরেরা তখনও দেশে বেঁচে ছিল, যাদের ইসরাইলীয়রা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করতে পারে নি, তাদেরই সোলায়মান গোলাম হিসাবে কাজ করতে বাধ্য করেছিলেন, আর তারা আজও সেই কাজ করছে। 22কিন্তু তিনি কোন ইসরাইলীয়কে গোলাম করেন নি; তারা ছিল তাঁর যোদ্ধা, তাঁর কর্মচারী, তাঁর অধীন শাসনকর্তা, তাঁর সেনাপতি এবং তাঁর রথচালক ও ঘোড়সওয়ারদের সেনাপতি। 23এছাড়া সোলায়মানের সব কাজের দেখাশোনার ভার-পাওয়া পাঁচশো পঞ্চাশ জন প্রধান কর্মচারী ছিল। যে লোকেরা কাজ করত এরা তাদের কাজ তদারক করত।
24ফেরাউনের মেয়ে দাউদ-শহর ছেড়ে তাঁর জন্য সোলায়মানের তৈরী করা রাজবাড়ীতে চলে আসলে পর সোলায়মান মিল্লো তৈরী করলেন।
25মাবুদের উদ্দেশে সোলায়মান যে কোরবানগাহ্‌টা তৈরী করেছিলেন সেখানে বছরে তিনবার তিনি পোড়ানো-কোরবানী ও যোগাযোগ-কোরবানী দিতেন। সেই সংগে তিনি মাবুদের সামনে ধূপও জ্বালাতেন। তাহলে দেখা যায়, সোলায়মান বায়তুল-মোকাদ্দসের সব কাজ শেষ করেছিলেন।
26বাদশাহ্‌ সোলায়মান আকাবা উপসাগরের তীরে ইদোমের এলৎ শহরের কাছে ইৎসিয়োন-গেবরে কতগুলো জাহাজ তৈরী করলেন। 27সোলায়মানের লোকদের সংগে নৌবহরে কাজ করবার জন্য হীরম তাঁর কয়েকজন দক্ষ নাবিক পাঠিয়ে দিলেন। 28তারা ওফীরে গিয়ে প্রায় সাড়ে ষোল টন সোনা নিয়ে এসে বাদশাহ্‌ সোলায়মানকে দিল।

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in

YouVersion uses cookies to personalize your experience. By using our website, you accept our use of cookies as described in our Privacy Policy