YouVersion Logo
Search Icon

জাকারিয়া 1

1
বনি-ইসরাইলকে অনুতাপ করার আহ্বান
11দারিয়ুসের দ্বিতীয় বছরের অষ্টম মাসে মাবুদের এই কালাম ইদ্দোর পৌত্র বেরিখিয়ের পুত্র জাকারিয়া নবীর কাছে উপস্থিত হল। 2মাবুদ তোমাদের পূর্বপুরুষদের প্রতি ভীষণ ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন। 3অতএব তুমি এই লোকদেরকে বল, বাহিনীগণের মাবুদ এই কথা বলেন; তোমরা আমার প্রতি ফের, এই কথা বাহিনীগণের মাবুদ বলেন, আমিও তোমাদের প্রতি ফিরব, এই কথা বাহিনীগণের মাবুদ বলেন। 4তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষদের মত হয়ো না, তাদেরকে পূর্বকালীন নবীরা উচ্চৈঃস্বরে বলতো, বাহিনীগণের মাবুদ এই কথা বলেন, তোমরা নিজ নিজ কুপথ ও নিজ নিজ কুকর্ম থেকে ফিরে এসো; কিন্তু তারা শুনত না, আমার কথায় কান দিত না, মাবুদ এই কথা বলেন। 5তোমাদের পূর্বপুরুষেরা কোথায়? এবং নবীরা কি চিরকাল বেঁচে থাকে? 6কিন্তু আমি আমার গোলাম নবীদেরকে যা যা হুকুম করেছিলাম, আমার সেসব কালাম ও বিধি কি তোমাদের পূর্বপুরুষদের নিকট পৌঁছায় নি? তখন তারা ফিরে এসে বললো, বাহিনীগণের মাবুদ আমাদের আচার ও কাজ অনুসারে আমাদের প্রতি যেমন ব্যবহার করতে মনস্থ করেছিলেন, আমাদের প্রতি তেমনি ব্যবহার করেছেন।
প্রথম দর্শন: ঘোড়ায় আরোহী এক জন পুরুষ
7দারিয়ুসের দ্বিতীয় বছরের একাদশ মাসের অর্থাৎ শবাট মাসের, চব্বিশতম দিনে মাবুদের কালাম ইদ্দোর পৌত্র বেরিখিয়ের পুত্র নবী জাকারিয়ার কাছে নাজেল হল। 8তিনি বললেন, আমি রাতের বেলায় দর্শন পেলাম, আর দেখ, লাল রংয়ের ঘোড়ায় আরোহী এক জন পুরুষ, তিনি নিম্নভূমিস্থ গুলমেদি গাছগুলোর মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং তাঁর পেছন লাল রংয়ের, মেটে ও সাদা রংয়ের কয়েকটি ঘোড়া ছিল। 9তখন আমি বললাম, হে আমার প্রভু, এরা কে? তাতে আমার সঙ্গে আলাপকারী ফেরেশতা আমাকে বললেন, এরা কে, তা আমি তোমাকে জানাবো। 10আর যে পুরুষ গুলমেদি গাছগুলোর মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি বললেন, মাবুদ এদেরকে দুনিয়াতে ইতস্তত ভ্রমণ করতে পাঠিয়েছেন। 11তখন তারা জবাবে, যিনি গুলমেদি গাছগুলোর মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন, মাবুদের সেই ফেরেশতাকে বললো, আমরা দুনিয়াতে ইতস্তত ভ্রমণ করেছি, আর দেখ, সমস্ত দুনিয়া সুস্থির ও শান্তিপূর্ণ।
12তখন মাবুদের ফেরেশতা বললেন, হে বাহিনীগণের মাবুদ, তুমি এই সত্তর বছর যাদের উপরে ক্রুদ্ধ হয়ে রয়েছ, সেই জেরুশালেম ও এহুদার নগরগুলোর প্রতি করুণা করতে কতকাল বিলম্ব করবে? 13তখন যে ফেরেশতা আমার সঙ্গে আলাপ করছিলেন, মাবুদ তাঁকে জবাবে নানা মঙ্গলকথা, নানা সান্ত্বনাদায়ক কথা বললেন। 14আর যে ফেরেশতা আমার সঙ্গে আলাপ করছিলেন, তিনি আমাকে বললেন, তুমি ঘোষণা কর, বাহিনীগণের মাবুদ এই কথা বলেন, জেরুশালেম ও সিয়োনের উপর আমি অসম্ভব ক্রুদ্ধ হয়েছি। 15আর নিশ্চিন্ত জাতিদের প্রতি আমার ক্রোধ জন্মেছে; কেননা আমি সামান্য ক্রুদ্ধ হলে তারা আরও বেশি অমঙ্গল যোগ করলো। 16এজন্য মাবুদ এই কথা বলেন, আমি করুণা করে জেরুশালেমে ফিরে এলাম; তার মধ্যে আমার গৃহ নির্মিত হবে, এই কথা বাহিনীগণের মাবুদ বলেন; এবং জেরুশালেমে মাপের দড়ি ধরা হবে। 17তুমি আরও ঘোষণা কর, বাহিনীগণের মাবুদ এই কথা বলেন, আমার নগরগুলো পুনর্বার মঙ্গলে পরিপূর্ণ হবে এবং মাবুদ সিয়োনকে পুনরায় সান্ত্বনা দেবেন ও জেরুশালেমকে পুনর্বার মনোনীত করবেন।
দ্বিতীয় দর্শন: শিং ও চর্মকার
18পরে আমি চোখ তুলে দেখলাম, আর দেখ, চারটি শিং। 19তখন আমার সঙ্গে আলাপকারী ফেরেশতাকে জিজ্ঞাসা করলাম, এগুলো কি? তিনি আমাকে বললেন, এ সেই সব শিং যা এহুদা, ইসরাইল এবং জেরুশালেমকে ছিন্নভিন্ন করেছে। 20পরে মাবুদ আমাকে চার জন কর্মকার দেখালেন। 21আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এরা কি করতে আসছে? তিনি বললেন, ঐ শিংগুলো এহুদাকে এমন ছিন্নভিন্ন করেছে যে, কেউই মাথা তুলতে পারে নি; কিন্তু যেসব জাতিরা এহুদা দেশকে ছিন্নভিন্ন করার জন্য শিং উঠিয়েছে, তাদের ভয় দেখাবার জন্য ও তাদের শিংগুলো নিচে ফেলে দেবার জন্য এরা আসছে।

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in

YouVersion uses cookies to personalize your experience. By using our website, you accept our use of cookies as described in our Privacy Policy