YouVersion Logo
Search Icon

যোনা 4

4
যোনার ক্রোধ ও ঈশ্বরের করুণা
1এই ঘটনায় যোনা খুবই অসন্তুষ্ট হলেন। 2তিনি প্রভুর কাছে অনুযোগ করে বললেন, হে প্রভু পরমেশ্বর, তুমি যে এমনটি করবে, দেশে থাকতেই কি আমি একথা বলিনি? তাই তো আমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তার্শীশে পালাচ্ছিলাম। কারণ আমি জানতাম যে তুমি স্নেহময় ও ক্ষমাশীল ঈশ্বর। তুমি সহজে ক্রুদ্ধ হও না, অপার তোমার করুণা। শাস্তি দিতে উদ্যত হয়েও তুমি নিজেকে সংবরণ কর।#যাত্রা 34:6 3কাজেই আমার আর বেঁচে থেকে লাভ নেই, আমায় বরং তুলে নাও।#১ রাজা 19:4
4প্রভু তাঁকে বললেন, তোমার এত রাগ কি ঠিক হচ্ছে?
5যোনা তখন নগর থেকে বেরিয়ে নগরের পূর্ব দিকে একটা জায়গায় গিয়ে বসলেন। সেখানে তিনি একটা চালা তৈরী করলেন আর নগরের কি দশা হয় তা দেখার জন্য তার নীচে বসে রইলেন। 6প্রভু পরমেশ্বর তখন একটি লতাগাছকে#4:6 পাঠান্তর: ভেরাণ্ডাগাছ। কাজে লাগালেন। তার ছায়াতে যোনা যেন আরামে থাকেন সেইজন্য তিনি সেটির শাখা তাঁর চলার উপর ছড়িয়ে দিলেন। তাতে যোনা খুব খুশী হলেন। 7কিন্তু পরের দিন ভোরে ঈশ্বরের ইচ্ছায় লতাটিকে পোকায় কেটে দিল। সেটি শুকিয়ে গেল। 8সূর্য ওঠার পর ঈশ্বরের নির্দেশে পূর্ব দিক থেকে ‘লু’ বইতে লাগল। মাথার উপর সূর্যের প্রখর তাপ যেন আগুন ছড়াতে লাগল। যোনার চেতনা লোপ হবার উপক্রম হল। তিনি তখন মৃত্যুকামনা করে বললেন, বেঁচে থাকার চেয়ে আমার মরণই ভাল।
9ঈশ্বর তাঁকে বললেন, লতাটি শুকিয়ে যাওয়ায় তোমার এত রাগ করা কি ঠিক হচ্ছে? যোনা বললেন, হ্যাঁ, রাগ হবারই কথা! এরপর আমি আর কিসের জন্য বাঁচব? আমার মরণই ভাল!
10প্রভু পরমেশ্বর বললেন, তুমি এই লতাগাছটির জন্য কোন পরিশ্রম করনি, এর যত্নও করনি। রাতারাতি এটি বেড়ে উঠেছিল এবং পরের দিন শুকিয়ে গেছে। এর জন্য যদি তোমার এত দুঃখ হয় 11তাহলে ভেবে দেখ, এই মহানগরী নীনবী, যার মধ্যে রয়েছে এক লক্ষ কুড়ি হাজারেরও বেশী মানুষ—যারা ন্যায়-অন্যায় বোঝে না, আর আছে অসংখ্য পশু, তাদের জন্য কি আমার মমতা থাকবে না?

Currently Selected:

যোনা 4: BENGALCL-BSI

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in