YouVersion Logo
Search Icon

হবক্‌কুক 2

2
1আমি প্রহরীর মত প্রতীক্ষায় থাকব, দেখি, প্রভু পরমেশ্বর আমায় কি বার্তা দেন, কি উত্তর দেন তিনি আমার অভিযোগের!
ঈশ্বরের উত্তর
2প্রভু পরমেশ্বর বললেনঃ আমি তোমায় যা বলি, লিখে রাখ। এমনভাবে লেখ যেন সকলে একনজরে পড়তে পারে। 3লিখে রাখ, কারণ এসব ঘটনা ঘটার সময় আসেনি এখনও। তবে, আর দেরী নেই! যা আমি তোমায় বলছি, সত্য হবে সে কথা। অপেক্ষা কর, এখনই না হলেও এ ঘটনা ঘটবেই, অধিক বিলম্ব হবে না তার।#হিব্রু 10:37 4দেখ, দুষ্টের পতন হবে, কিন্তু রক্ষা পাবে ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তি, কারণ সে যে পরমেশ্বরের অনুরক্ত।#রোমীয় 1:17; গালা 3:11; হিব্রু 10:38
সর্বনাশের পাঁচটি মূল
5সুরা প্রতারণা করে, ধন সম্পদও প্রতারক, ধনমদে মত্ত মানুষ বিলুপ্ত হবে, কারণ পাতালের মত অতল তার লালসা, মৃত্যুর মতই অতৃপ্ত তার লোভ। তাই সে গ্রাস করে জাতির পর জাতিকে, করায়ত্ত করে সর্বশ্রেণীর মানুষকে। 6কিন্তু বিজিত জাতি তাকে বিদ্রূপ করে বলবে: ধিক্‌ সে, যে পরের ধন ছিনিয়ে নিয়ে ধনী হয়, ঋণীকে শোষণ করে হয় সমৃদ্ধ। কিন্তু মনে রেখো, আর বেশিদিন নয়, তার সর্বনাশ অনিবার্য।
7তোমার কাছে আজ যারা ঋণী তারা মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে তুমি বোঝার আগেই, তারাও ছিনিয়ে নেবে তোমার সর্বস্ব। তোমার হৃদ্‌কম্প জাগাবে তারা, পরে তুমিই হবে তাদের শিকার। 8তুমি বহু জাতির সর্বস্ব লুটে নিয়েছ, তাই তাদের মধ্যে রক্ষা পেয়েছে যারা, তারাই তার শোধ নেবে এবার। কারণ তুমি হত্যা করেছ অসংখ্য মানুষকে, পৃথিবীর মানুষ জর্জরিত হয়েছে তোমার নির্মম অত্যাচারে, ধ্বংস করেছ তুমি কত নগর জনপদ।
9তোমার সর্বনাশ অনিবার্য! লুণ্ঠিত দ্রব্যে তুমি আপন পরিজনকে করেছ সমৃদ্ধ, সুরক্ষিত করেছ তোমার গৃহ, নিরাপদ হয়েছে তোমার পরিবার। 10কিন্তু তোমার এসব কর্ম কলঙ্কিত করেছে তোমার কুল, বহুজাতিকে ধ্বংস করে তুমি নিজের বিনাশ ডেকে এনেছ। 11দেওয়ালের ইঁটগুলি পর্যন্ত চীৎকার করবে তোমার বিরুদ্ধে, ছাদের কড়িকাঠগুলিও তার প্রতিধ্বনি করবে।
12তোমার সর্বনাশ অনিবার্য! অন্যায়ের উপর তুমি স্থাপন করেছ নগরীর ভিত্তি, হত্যার রক্তে প্রতিষ্ঠা করেছ নগর জনপদ। 13তোমাদের যুদ্ধ-বন্দীরা প্রাণপাত করে যা কিছু গড়ে তুলেছে, সবই যাবে অগ্নির করাল গ্রাসে, ব্যর্থ হবে সব পরিশ্রম। সর্বাধিপতি প্রভুর নির্ধারিত এই-ই তোমাদের বিধিলিপি! 14সমুদ্র যেমন জলে পরিপূর্ণ, তেমনই পূর্ণ হবে মানুষের হৃদয় পরমেশ্বরের ক্ষমতা ও মহিমার উপলব্ধিতে।#যিশা 11:9
15তোমার সর্বনাশ অনিবার্য! চূড়ান্ত ঔদ্ধত্যে তুমি চরম অবমাননা করেছ তোমার প্রতিবেশী রাজ্যের মানুষের। তোমার অমানুষিক অত্যাচারে তারা হয়েছে অনাবৃত, বিপর্যস্ত। এবার তোমার পালা। 16সম্মানের পরিবর্তে আসবে এবার লজ্জা ও অপমান। এর হাত থেকে রেহাই নেই তোমার। প্রভু পরমেশ্বর স্বয়ং তোমায় সমুচিত দণ্ড দেবেন। গৌরব-সম্ভ্রম হারিয়ে তোমার লজ্জা রাখার কোনও উপায় থাকবে না। 17লেবাননের বৃক্ষরাজিকে তুমি যেভাবে ধ্বংস করেছ, সেইভাবে ধ্বংস হবে তুমিও। সেখানকার বন্যপশুদের তুমি হত্যা করেছ, এবার তুমিও বিহ্বল হবে বন্য জন্তুর আতঙ্কে। পৃথিবী জুড়ে যে হত্যালীলা ও উৎপীড়ন তুমি চালিয়েছ, এ হল তারই প্রতিশোধ।
18মানুষের হাতে গড়া মূর্তির আছে কি কোনও মূল্য? সে তো অসার মাত্র, অলীক মহিমায় আবৃত! কারিগর মূক প্রতিমা নির্মাণ করে, নির্ভর করে তার নিজের সৃষ্ট বস্তুরই উপর। কি লাভ এইসব অসার বস্তুতে? 19তার সর্বনাশ অনিবার্য, যে কাষ্ঠখণ্ডকে সম্বোধন করে বলে, ‘তুমি জাগ্রত হও’, মূক পাষাণ মূর্তিকে বলে, ‘ওঠ’। এই প্রতিমা কি প্রকাশ করতে পারে পরম জ্ঞান? সোনা-রূপোয় মোড়া হলেও প্রাণবায়ু নেই তার মধ্যে।
20কিন্তু প্রভু পরমেশ্বর নিজ পবিত্র মন্দিরে অধিষ্ঠিত, তাঁর সম্মুখে স্তব্ধ হোক বিশ্ব চরাচর।

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in