YouVersion Logo
Search Icon

১ রাজাবলি 6

6
মন্দির নির্মাণ
1ইসরায়েলীরা মিশর দেশ ছেড়ে চলে আসার চারশো আশি বছর পরে এবং ইসরায়েলীদের উপর শলোমনের রাজত্বের চতুর্থ বছরে সিব মাসে অর্থাৎ বছরের দ্বিতীয় মাসে শলোমন প্রভু পরমেশ্বরের মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করেন। 2মন্দিরটি#6:2 দৈর্ঘ্যে 27 মিটার, প্রস্থে 9 মিটার, উচ্চতা 13:5 দৈর্ঘ্যে ষাট হাত, প্রস্থে কুড়ি হাত এবং উচ্চতায় ত্রিশ হাত ছিল। 3মন্দিরের#6:3 দৈর্ঘ্যে 4:5 মিটার, প্রস্থ 9 মি: সামনের বারান্দাটির দৈর্ঘ্য ছিল কুড়ি হাত অর্থাৎ মূল মন্দিরের প্রস্থের সমান এবং প্রস্থে দশ হাত।
4তিনি মন্দিরে জানালা#6:4 এই জানালাগুলির মুখ ছিল বাইরের দিকে সরু এবং ভিতরের দিকে চওড়া-হিব্রু: অস্পষ্ট তৈরী করালেন। 5মন্দিরের বাইরের দিকে দুপাশের দেওয়ালের গায়ে ও মহাপবিত্র স্থানের বাইরের দেওয়ালের গায়ে তিনি তিনটি তলা তৈরী করালেন। প্রত্যেকটি তলার উচ্চতা ছিল পাঁচ হাত। 6সবচেয়ে নীচের তলাটি ছিল পাঁচ হাত চওড়া, মাঝের তলা ছয় হাত এবং তৃতীয় তলাটি ছিল সাত হাত চওড়া। প্রত্যেকটি তলায় অনেকগুলি ঘর তৈরী করালেন। তলাগুলিকে যে কড়িকাঠগুলি ধরে রেখেছিল, সেগুলি যেন মন্দিরের দেওয়াল ভেদ না করে সেইজন্য তিনি মন্দিরের দেওয়ালের বাইরের দিকে আলাদা থাম তৈরী করিয়েছিলেন। 7মন্দিরের পাথরগুলো কেটে সেই খনিতেই প্রয়োজন অনুযায়ী মাপ মত সমান করে খোদাই করা হয়েছিল। তাই মন্দির নির্মাণের সময় ছেনি, হাতুড়ি, বাটালি ইত্যাদি কিম্বা কোন রকম লোহার যন্ত্রপাতির আওয়াজ শোনা যায় নি।
8নীচের তলার প্রবেশদ্বার ছিল মন্দিরের দক্ষিণ দিকে এবং তার সাথে দোতলা ও তিলতলায় ওঠার জন্য লাগোয়া সিঁড়ি ছিল। 9শলোমনের মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে এল। সীডার কাঠের কড়ি, বরগা ও তক্তা নিয়ে তিনি তৈরী করলেন মন্দিরের ছাদ 10আর মন্দিরের গায়ে প্রত্যেক তলায় পাঁচ হাত উঁচু কুঠরী তৈরী করালেন। তারপর সীডার কাঠের কাঠামো দিয়ে সেগুলিকে মন্দিরের সঙ্গে সংযুক্ত করে দিলেন। 11প্রভু পরমেশ্বর শলোমনকে বললেন, 12এই যে মন্দির তুমি নির্মাণ করছ সে সম্বন্ধে আমি তোমায় এই কথাই বলতে চাই যে, যদি তুমি সমস্ত বিধি নির্দেশ ও অনুশাসন পালন করে চল তাহলেই তোমার সম্পর্কে তোমার পিতা দাউদের কাছে যে প্রতিশ্রুতি আমি দিয়েছিলাম, তা রক্ষা করব। 13আমার ইসরায়েলী প্রজাদের মাঝে আমি বাস করব, কখনও তাদের পরিত্যাগ করব না। 14শলোমন মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ করলেন।
মন্দিরের ভিতরের কারুকার্য
15মন্দিরের ভিতরের দেওয়াল মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত সীডার কাঠের তক্তা দিয়ে ঢাকা হল। মেঝে ঢাকা হল দেবদারুর তক্তা দিয়ে।
16মন্দিরের পিছন দিকে একটি কক্ষ তৈরী করা হল। তার নাম দেওয়া হল মহাপবিত্র স্থান। কক্ষটি ছিল কুড়ি হাত লম্বা। কক্ষটির সামনে মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত কাঠের তক্তা দিয়ে আড়াল করে দেওয়া হল।#যাত্রা 26:33-34 17মহাপবিত্র স্থানের সামনে মন্দিরের ভিতরের দিকটা ছিল চল্লিশ হাত দীর্ঘ।
18মন্দিরের ভিতরের দেওয়াল সীডার কাঠের তক্তা দিয়ে সম্পূর্ণ ঢাকা ছিল। সেইজন্য দেওয়ালের পাথর দেখা যেত না। দেওয়ালের কাঠে খোদাই করে লাউ জাতীয় ফুল এবং প্রস্ফুটিত ফুলের নকশা করা হয়েছিল।
19মন্দিরের ভিতরে মহাপবিত্র স্থানটি তৈরী করা হল প্রভু পরমেশ্বরের উপস্থিতির প্রতীক চুক্তি সিন্দুক রাখার জন্য।
20ভিতরের এই কক্ষটি ছিল কুড়ি হাত লম্বা, কুড়ি হাত চওড়া এবং কুড়ি হাত উঁচু। কক্ষটি আগাগোড়া খাঁটি সোনার পাতে মোড়া ছিল। তিনি একটি বেদী নিমার্ণ করে সীডার কাঠের আবরণ তৈরী করে দিলেন। 21তারপর মন্দিরের ভিতরটাও খাঁটি সোনার পাত দিয়ে মুড়লেন এবং মন্দিরের ভিতরের ঘরের সামনে প্রবেশপথে আড়াআড়িভাবে সোনার শিকল দিয়ে দিলেন।এই ঘরটিও আগাগোড়া সোনা দিয়ে মুড়ে দিলেন। 22মন্দিরের ভিতরটা পুরোপুরি সোনা দিয়ে মোড়া হল। মহাপবিত্র স্থানের বেদীটিও পুরো সোনা দিয়ে মুড়ে দেওয়া হল।#যাত্রা 30:1-3 23তারপর জলপাই কাঠ দিয়ে দশ হাত উঁচু দুটি করূব#6:23 স্বর্গ দূত। দুই পক্ষযুক্ত কাল্পনিক দিব্য প্রাণী।15 মূর্তি তৈরী করে মহাপবিত্র স্থানে বসানো হল।
24-26দুটি মূর্তিই ছিল এক মাপের এবং প্রত্যেকটিরই দুটি করে ডানা। প্রত্যেকটি ডানা পাঁচ হাত লম্বা এবং দুটি ডানার প্রান্তভাগের দূরত্ব ছিল দশ হাত। 27মূর্তি দুটিকে মহাপবিত্র স্থানে এমনভাবে পাশাপাশি বসান হল যাতে মূর্তি দুটির মেলে দেওয়া ডানার একটির শেষ মাথা ঘরের মাঝামাঝি আর একটির ডানাকে ছুঁয়ে থাকে এবং দুজনেরই অপর ডানাটি মন্দিরের দুইদিকের দেওয়াল ছুঁয়ে থাকে। 28এই দুটি মূর্তিও সোনায় মুড়ে দেওয়া হল।#যাত্রা 25:18-20
29মন্দিরের মূল ঘরের এবং মহাপবিত্র কক্ষের চারিদিকের দেওয়ালে করূব মূর্তি, খেজুর গাছ, ফুল ইত্যাদি খোদাই করে সুন্দর কারুকার্য করা হয়েছিল। 30মন্দিরের ভেতর ও বাইরের সমস্ত ঘরের মেঝে সোনায় মুড়ে দেওয়া হল। 31মন্দিরের ভেতরে মহাপবিত্র স্থানের প্রবেশপথে জলপাই কাঠের দুটি দরজা লাগানো হল। দরজাগুলির চৌকাঠের মাথায় কোণাকৃতি বাজু লাগান হল। 32দরজাগুলির কপাটের গায়ে ডানা মেলা করূব, খেজুরগাছ ও ফুল খোদাই করা হল। এইসব দরজা, করূব, খেজুরগাছ ইত্যাদিও সোনায় মোড়া হল। 33মন্দিরের প্রথম দরজাটির জন্য জলপাই কাঠের চারকোণা কাঠামো বসানো হল। 34তাতে দেবদারু কাঠের দুটি কপাট লাগান হল, 35এবং এগুলিতেও করূব, খেজুরগাছ, ফুল ইত্যাদি খোদাই করে কারুকার্য করে তার উপর সোনা বসিয়ে দেওয়া হল। 36মন্দিরের ভিতরের প্রাঙ্গনের দেওয়াল পর্যায়ক্রমে এক থাক পাথর ও এক থাক সীডার কাঠ দিয়ে গাঁথা হল।
37শলোমনের রাজত্বের চতুর্থ বছরে সিব মাসে অর্থাৎ বছরের দ্বিতীয় মাসে প্রভু পরমেশ্বরের মন্দিরের ভিত্তি স্তাপন হয়েছিল।
38আর তাঁর রাজত্বের একাদশ বছরে বুল মাসে অর্থাৎ বছরের অষ্টম মাসে নির্দিষ্ট নকশা অনুযায়ী মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছিল। মন্দির নির্মাণ করতে শলোমনের সাত বছর লেগেছিল।

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in