YouVersion Logo
Search Icon

গণনাপুস্তক 4

4
কহাতীয়েরা
1সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন, 2“তোমরা লেবীয়দের মধ্য থেকে বংশ ও পরিবার অনুসারে কহাতীয়দের সংখ্যা গণনা কর। 3ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ বছর বয়সের যে কহাতীয় পুরুষেরা মিলন-তাম্বুর কাজ করতে আসবে কেবল তাদের সংখ্যা গণনা করবে।
4“মিলন-তাম্বুতে কহাতীয়দের কাজ হবে মহাপবিত্র জিনিসগুলোর দেখাশোনা করা। 5তাম্বু তুলে যাত্রার সময় হলে হারোণ ও তার ছেলেরা আবাস-তাম্বুর ভিতরে গিয়ে সাক্ষ্য-সিন্দুক আড়াল করবার পর্দাটা নামিয়ে তা দিয়ে সিন্দুকটা ঢেকে দেবে। 6তারপর তারা শুশুকের চামড়া দিয়ে সেটা ঢেকে তার উপর এমন একটা কাপড় বিছিয়ে দেবে যার সবটাই নীল রংয়ের, আর সাক্ষ্য-সিন্দুকের ডাণ্ডাগুলো জায়গামত ঢুকিয়ে দেবে। 7সম্মুখ-রুটি রাখবার টেবিলের উপর তারা একটা নীল কাপড় বিছিয়ে তার উপর টেবিলের বড় ও ছোট থালাগুলো, বাটি এবং ঢালন-উৎসর্গের কলসীগুলো রাখবে। যে রুটিগুলো সব সময় টেবিলের উপর থাকে সেগুলো টেবিলের উপরেই থাকবে। 8এগুলোর উপর একটি লাল রংয়ের কাপড় বিছিয়ে শুশুকের চামড়া দিয়ে ঢেকে দেবে আর টেবিলের ডাণ্ডাগুলো জায়গামত ঢুকিয়ে দেবে। 9আলো দেবার জন্য যে বাতিদানটা আছে সেটা ও তার সব প্রদীপ, সল্‌তে পরিষ্কার করবার চিম্‌টা ও সল্‌তের পোড়া অংশ রাখবার পাত্র এবং বাতিতে তেল যোগান দেবার পাত্র তারা একটা নীল কাপড় দিয়ে ঢেকে দেবে। 10তারপর তারা সমস্ত সাজ-সরঞ্জাম সুদ্ধ বাতিদানটা শুশুকের চামড়ায় জড়িয়ে সেটা তার বয়ে নেবার তক্তার উপর রাখবে। 11সোনার বেদীটার উপর একটা নীল কাপড় বিছিয়ে তারা সেটা শুশুকের চামড়া দিয়ে ঢেকে দেবে এবং বেদীর ডাণ্ডাগুলো জায়গামত ঢুকিয়ে দেবে। 12পবিত্র তাম্বুর কাজে ব্যবহার করবার সমস্ত জিনিসপত্র তারা নীল কাপড়ে জড়িয়ে শুশুকের চামড়া দিয়ে ঢেকে সেটা তার বয়ে নেবার তক্তার উপরে রাখবে। 13ব্রোঞ্জের বেদীটার সমস্ত ছাই ফেলে দিয়ে তারা একটা বেগুনী রংয়ের কাপড় তার উপর বিছিয়ে দেবে। 14তারপর তার উপর তারা বেদীর কাজের সমস্ত বাসন-কোসন, আগুন রাখবার পাত্র, মাংস তুলবার কাঁটা, হাতা ও উৎসর্গের রক্ত রাখবার বাটি রাখবে। তারা তার উপর শুশুকের চামড়া বিছিয়ে দেবে এবং তার ডাণ্ডাগুলো জায়গামত ঢুকিয়ে দেবে।
15“হারোণ ও তার ছেলেরা যখন এই সব পবিত্র জিনিসপত্র ও পবিত্র তাম্বুর সাজ-সরঞ্জাম ঢাকা দেওয়া শেষ করবে এবং লোকেরা তাম্বু তুলে যাত্রার জন্য প্রস্তুত হবে তখন কহাতীয়েরা এই সব বয়ে নেবার জন্য আসবে। কিন্তু কোন পবিত্র জিনিষে তাদের হাত দেওয়া চলবে না। তা করলে তারা মারা পড়বে। মিলন-তাম্বুতে যে সব জিনিস থাকবে কহাতীয়দের সেগুলো বয়ে নিতে হবে। 16বাতির তেল, সুগন্ধি ধূপ, নিয়মিত শস্য-উৎসর্গ এবং অভিষেক-তেলের ভার থাকবে পুরোহিত হারোণের ছেলে ইলীয়াসরের উপর। পুরো আবাস-তাম্বু ও তার মধ্যেকার সমস্ত কিছুর, অর্থাৎ পবিত্র তাম্বুর ও তার সাজ-সরঞ্জামের ভার থাকবে ইলীয়াসরের উপর।”
17এর পর সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন, 18“তোমরা দেখো যেন লেবি-গোষ্ঠীর মধ্য থেকে কহাতীয় বংশগুলো মুছে না যায়। 19যাতে তারা মহাপবিত্র জিনিসগুলোর কাছে গিয়ে মারা না পড়ে বরং বেঁচে থাকে সেই উদ্দেশ্যে হারোণ ও তার ছেলেরা পবিত্র তাম্বুর মধ্যে গিয়ে প্রত্যেকের কাজ এবং কি তাকে বয়ে নিয়ে যেতে হবে তা ঠিক করে দেবে। 20কিন্তু সেই সমস্ত পবিত্র জিনিস দেখবার জন্য কহাতীয়দের ভিতরে যাওয়া চলবে না, এক মুহূর্তের জন্যও না। তা করলে তারা মারা পড়বে।”
গের্শোনীয়েরা
21সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, 22“পরিবার ও বংশ অনুসারে তুমি গের্শোনীয়দেরও সংখ্যা গণনা কর। 23ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ বছর বয়সের যে গের্শোনীয় পুরুষেরা মিলন-তাম্বুর কাজ করতে আসবে কেবল তাদের সংখ্যা গণনা করবে।
24-25“মিলন-তাম্বুর কাজ করবার ও বোঝা বইবার সময় গের্শোনীয় বংশগুলোর দায়িত্ব হল আবাস-তাম্বুর মসীনার কাপড়, তার উপরে বিছানো ছাগলের লোমের ঢাকন, তার উপরকার ভেড়ার চামড়ার ছাউনি এবং শুশুকের চামড়ার ছাউনি ও মিলন-তাম্বুতে ঢুকবার দরজার পর্দা বয়ে নিয়ে যাওয়া। 26এছাড়া আবাস-তাম্বু ও বেদীর চারপাশের উঠানের পর্দা, উঠানে ঢুকবার দরজার পর্দা, আবাস-তাম্বু খাটাবার দড়ি এবং এগুলো কাজে লাগাবার সমস্ত দরকারী জিনিসও তাদের বয়ে নিয়ে যেতে হবে। এই সমপর্কে আর যত কাজ আছে তার সমস্তই গের্শোনীয়দের করতে হবে। 27বোঝা বইবার কাজ হোক কিম্বা আর অন্য যে কোন কাজ হোক, সমস্ত কাজই হারোণ ও তার ছেলেদের নির্দেশমত তাদের করতে হবে। যে সব জিনিস বয়ে নিয়ে যাওয়া তাদের দায়িত্ব তা তোমরাই তাদের বলে দেবে। 28মিলন-তাম্বুতে গের্শোনীয় বংশগুলোর এই হল কাজ। তাদের কাজকর্মের দেখাশোনা করবার ভার থাকবে পুরোহিত হারোণের ছেলে ঈথামরের উপর।
মরারীয়েরা
29“বংশ ও পরিবার অনুসারে তোমরা মরারীয়দের সংখ্যা গণনা কর। 30ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ বছর বয়সের যে মরারীয় পুরুষেরা মিলন-তাম্বুর কাজ করতে আসবে কেবল তাদের সংখ্যা গণনা করবে। 31মিলন-তাম্বুর কাজে মরারীয়দের দায়িত্ব হল আবাস-তাম্বুর সমস্ত ফ্রেম, হুড়কা, খুঁটি ও পা-দানিগুলো বয়ে নিয়ে যাওয়া। 32এছাড়া, চারপাশের উঠানের সমস্ত পা-দানি সুদ্ধ খুঁটি, তাম্বুর গোঁজ, উঠানের পর্দার দড়ি ও সেগুলোর সমস্ত যন্ত্রপাতি এবং সেগুলো কাজে লাগাবার সমস্ত দরকারী জিনিসও তাদের বয়ে নিয়ে যেতে হবে। কে কি বয়ে নিয়ে যাবে তা তোমরাই তাদের ঠিক করে দেবে। 33এই হল মিলন-তাম্বুর কাজে মরারীয় বংশগুলোর দায়িত্ব। তাদের কাজকর্মের দেখাশোনা করবার ভার থাকবে পুরোহিত হারোণের ছেলে ঈথামরের উপর।”
লেবীয় বংশগুলোর লোকসংখ্যা গণনা
34বংশ ও পরিবার অনুসারে মোশি, হারোণ ও ইস্রায়েলীয় নেতারা কহাতীয়দের গণনা করলেন। 35ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ বছর বয়স পর্যন্ত যাদের মিলন-তাম্বুতে কাজ করতে আসবার কথা, 36বংশ অনুসারে তাদের গণনা করবার পর দেখা গেল তাদের সংখ্যা দু’হাজার সাতশো পঞ্চাশ। 37এটাই ছিল ঐ সব কহাতীয় বংশগুলোর মোট সংখ্যা। মোশির মধ্য দিয়ে সদাপ্রভুর দেওয়া হুকুম অনুসারেই মোশি ও হারোণ তাদের সংখ্যা গণনা করেছিলেন।
38বংশ ও পরিবার অনুসারে গের্শোনীয়দের গণনা করা হয়েছিল। 39ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ বছর বয়স পর্যন্ত যাদের মিলন-তাম্বুতে কাজ করতে আসবার কথা, 40বংশ ও পরিবার অনুসারে তাদের গণনা করবার পর দেখা গেল তাদের সংখ্যা দু’হাজার ছ’শো ত্রিশ। 41এটাই হয়েছিল ঐ সব গের্শোনীয় বংশগুলোর মোট সংখ্যা। সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে মোশি ও হারোণ তাদের গণনা করেছিলেন।
42বংশ ও পরিবার অনুসারে মরারীয়দের গণনা করা হয়েছিল। 43ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ বছর বয়স পর্যন্ত যাদের মিলন-তাম্বুতে কাজ করতে আসবার কথা, 44বংশ অনুসারে তাদের গণনা করবার পর দেখা গেল তাদের সংখ্যা তিন হাজার দু’শো। 45এটাই হয়েছিল ঐ সব মরারীয় বংশগুলোর মোট সংখ্যা। মোশির মধ্য দিয়ে সদাপ্রভুর দেওয়া আদেশ অনুসারে মোশি ও হারোণ তাদের গণনা করেছিলেন।
46মোশি, হারোণ ও ইস্রায়েলীয় নেতারা এইভাবে বংশ ও পরিবার অনুসারে সমস্ত লেবীয়দের গণনা করেছিলেন। 47-48ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ বছর বয়স পর্যন্ত যে সমস্ত লোকদের মিলন-তাম্বুতে সেবার কাজ এবং জিনিসপত্র বইবার কাজ করতে আসবার কথা তাদের মোট সংখ্যা হয়েছিল আট হাজার পাঁচশো আশি। 49মোশির মধ্য দিয়ে সদাপ্রভুর দেওয়া আদেশ অনুসারে প্রত্যেককেই তার কাজ এবং কি বয়ে নিয়ে যেতে হবে তা ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল।
মোশিকে সদাপ্রভু যে আদেশ দিয়েছিলেন সেই অনুসারে এইভাবে লেবীয়দের লোকসংখ্যা গণনা করা হয়েছিল।

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in

YouVersion uses cookies to personalize your experience. By using our website, you accept our use of cookies as described in our Privacy Policy