YouVersion Logo
Search Icon

২ রাজাবলি 11

11
অথলিয়া ও যোয়াশ
1যিহূদার রাজা অহসিয়ের মা অথলিয়া যখন দেখলেন যে, তাঁর ছেলে মারা গেছে তখন তিনি গোটা রাজবংশকে ধ্বংস করলেন। 2কিন্তু সব রাজপুত্রদের মেরে ফেলবার আগে রাজা যিহোরামের মেয়ে অহসিয়ের বোন যিহোশেবা অহসিয়ের ছেলে যোয়াশকে রাজপুত্রদের মধ্য থেকে চুরি করে নিয়ে আসলেন। অথলিয়ার কাছ থেকে লুকিয়ে রাখবার জন্য যিহোশেবা যোয়াশ ও তাঁর ধাইমাকে একটা শোবার ঘরে রাখলেন। কাজেই যোয়াশ মারা পড়লেন না। 3তিনি তাঁর ধাইমার সংগে ছয় বছর সদাপ্রভুর ঘরে লুকানো অবস্থায় ছিলেন; তখন দেশে অথলিয়া রাজত্ব করছিলেন।
4সপ্তম বছরে পুরোহিত যিহোয়াদা রক্ষীদলের শত-সেনাপতিদের ও পাহারাদারদের শত-সেনাপতিদের ডেকে পাঠালেন এবং সদাপ্রভুর ঘরে তাঁদের নিজের কাছে আনালেন। তিনি তাঁদের সংগে একটা চুক্তি করলেন এবং সদাপ্রভুর ঘরে তাঁদের দিয়ে একটা শপথ করিয়ে নিয়ে তারপর রাজার ছেলেকে তাঁদের দেখালেন। 5তারপর তিনি তাঁদের আদেশ দিয়ে বললেন, “আপনাদের যা করতে হবে তা এই: আপনারা যাঁরা বিশ্রামবারে কাজ করতে যাবেন, আপনাদের তিন ভাগের এক ভাগ রাজবাড়ী পাহারা দেবেন, 6এক ভাগ সূর-ফটকে থাকবেন আর এক ভাগ পাহারাদারদের পিছনের ফটকে থাকবেন। এইভাবে আপনারা উপাসনা-ঘরটি পাহারা দেবেন। 7আপনাদের অন্য দু’টা দল যাঁরা বিশ্রামবারে ছুটি পাবেন তাঁরা সবাই উপাসনা-ঘরে রাজাকে পাহারা দেবেন। 8আপনাদের প্রত্যেককে নিজের নিজের অস্ত্র হাতে নিয়ে রাজার চারপাশ ঘিরে থাকতে হবে। যে কেউ আপনাদের কাছে আসবে তাকে মেরে ফেলতে হবে। রাজা যেখানেই যান না কেন আপনারা তাঁর কাছে কাছে থাকবেন।”
9পুরোহিত যিহোয়াদা শত-সেনাপতিদের যা আদেশ করলেন তাঁরা তা-ই করলেন। সেনাপতিরা প্রত্যেকে নিজের নিজের লোকদের নিয়ে, অর্থাৎ যারা বিশ্রামবারে কাজের পালা বদল করতে আসছিল এবং যারা কাজ থেকে ফিরছিল তাদের নিয়ে পুরোহিত যিহোয়াদার কাছে আসলেন। 10যিহোয়াদা তখন রাজা দায়ূদের যে সব বর্শা ও ঢাল সদাপ্রভুর ঘরে ছিল সেগুলো নিয়ে সেনাপতিদের হাতে দিলেন। 11রাজাকে রক্ষা করবার জন্য পাহারাদারেরা প্রত্যেকে অস্ত্র হাতে উপাসনা-ঘরের সামনে বেদীর কাছে দক্ষিণ দিক থেকে উত্তর দিক পর্যন্ত দাঁড়াল।
12তখন যিহোয়াদা রাজার ছেলেকে বের করে এনে তাঁর মাথায় মুকুট পরিয়ে দিয়ে তাঁর হাতে ব্যবস্থার বইখানা দিলেন। তাঁরা তাঁকে রাজা হিসাবে অভিষেক করলেন এবং লোকেরা হাততালি দিয়ে চিৎকার করে বলল, “রাজা চিরজীবী হোন।”
13পাহারাদার ও লোকদের এই চিৎকার শুনে অথলিয়া সদাপ্রভুর ঘরে লোকদের কাছে গেলেন। 14তিনি চেয়ে দেখলেন নিয়ম অনুসারে রাজা থামের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। সেনাপতিরা ও তূরী বাদকেরা রাজার পাশে রয়েছে এবং দেশের সব লোক আনন্দ করছে ও তূরী বাজাচ্ছে। এ দেখে অথলিয়া তাঁর পোশাক ছিঁড়ে চিৎকার করে বললেন, “এ তো বিশ্বাসঘাতকতা! বিশ্বাসঘাতকতা!”
15তখন পুরোহিত যিহোয়াদা যাদের উপর সৈন্যদলের ভার ছিল সেই শত-সেনাপতিদের এই আদেশ দিলেন, “ওঁকে সৈন্যদের সারির মাঝখানে রেখে এখান থেকে বের করে নিয়ে যান। যে ওঁর পিছনে পিছনে আসবে তাকে মেরে ফেলবেন।” এর আগে তিনি আদেশ দিয়েছিলেন যে, সদাপ্রভুর ঘরের মধ্যে অথলিয়াকে মেরে ফেলা উচিত হবে না। 16কাজেই অথলিয়াকে ধরা হল এবং ঘোড়া যেখান দিয়ে রাজবাড়ীর মাঠে ঢোকে তাঁকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর মেরে ফেলা হল।
17যিহোয়াদা তারপর সদাপ্রভু এবং রাজা ও লোকদের মধ্যে এই চুক্তি করলেন যে, তারা সদাপ্রভুর লোক হিসাবে চলবে। তিনি রাজা ও লোকদের মধ্যেও একটা চুক্তি করলেন। 18তারপর দেশের সব লোক বাল দেবতার মন্দিরে গিয়ে সেটা ভেংগে ফেলল। তারা সেখানকার বেদী ও মূর্তিগুলো ভেংগে টুকরা টুকরা করে ফেলল আর বাল দেবতার পুরোহিত মত্তনকে বেদীগুলোর সামনে মেরে ফেলল।
পরে পুরোহিত যিহোয়াদা সদাপ্রভুর ঘরে পাহারাদার নিযুক্ত করলেন। 19তারপর তিনি শত-সেনাপতিদের, রক্ষীদের, বাকী পাহারাদারদের এবং দেশের সব লোকদের সংগে নিয়ে সদাপ্রভুর ঘর থেকে রাজাকে বের করে আনলেন। তাঁরা পাহারদারদের ফটকের মধ্য দিয়ে ঢুকে রাজবাড়ীতে গেলেন এবং রাজাকে রাজ-সিংহাসনে বসালেন। 20এতে দেশের সব লোক আনন্দ করল এবং শহরটা শান্ত হল। অথলিয়াকে রাজবাড়ীতে মেরে ফেলা হয়েছিল।
21যোয়াশ যখন রাজত্ব করতে শুরু করলেন তখন তাঁর বয়স ছিল সাত বছর।

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in

YouVersion uses cookies to personalize your experience. By using our website, you accept our use of cookies as described in our Privacy Policy