দ্বিতীয় বিবরণ ভূমিকা
ভূমিকা
হযরত মূসা (আঃ)-এর উপর নাজেল হওয়া তৌরাত শরীফের মধ্যে দ্বিতীয় বিবরণ নামক সিপারাটি একটি উল্লেখযোগ্য সিপারা এবং পবিত্র তৌরাতের শেষ সিপারা। পবিত্র ইঞ্জিল শরীফে দ্বিতীয় বিবরণ থেকে আশিটা উদ্বৃতি দেওয়া হয়েছে। এই সিপারার নামের দরুন অনেকে একটা ভুল ধারণা করে যে, এটা কেবল হিজরত ও শুমারী সিপারায় যা যা বলা হয়েছে তার পুনরাবৃত্তি মাত্র। কিন্তু এটা কেবল পুনরাবৃত্তি নয়, এর সংগে আল্লাহ্ নতুন নতুন বিষয়ের কথাও বলেছেন। মরুভূমিতে ঘুরে বেড়াবার সময় যে সব সন্তানেরা বড় হয়ে উঠেছিল তাদের কাছে নতুনভাবে শরীয়ত জানাবার জন্য দ্বিতীয় বিবরণ লেখা হয়েছিল। বনি-ইসরাইলদের এই সব নতুন বংশধরেরা ওয়াদা করা দেশের কাছাকাছি এসেছিল। সেখানে ঢুকবার পরে যাতে তারা আল্লাহ্র দোয়া পায় সেইজন্য তাদের শরীয়ত জানা ও তা পালন করা দরকার ছিল। হযরত মূসা (আঃ) ইন্তেকাল করবার আগে বনি-ইসরাইলদের যে তিনটা বক্তৃতা দিয়েছিলেন তা দ্বিতীয় বিবরণে লেখা আছে। এর শেষ রুকুতে যেখানে তাঁর ইন্তেকালের কথা লেখা আছে তা হয়তো তিনি নিজেই নবী হিসাবে লিখে গেছেন, কিংবা হয়তো হযরত ইউসা (আঃ) অথবা অন্য আর কেউ লিখেছেন।
বিষয় সংক্ষেপ:
(ক) হযরত মূসার প্রথম বক্তৃতা: ওয়াদা করা দেশের কাছাকাছি আসা (১:১-৪:৪৩ আয়াত)
(খ) হযরত মূসার দ্বিতীয় বক্তৃতা: সেই দেশে পবিত্রতা রক্ষা করা (৪:৪৪-২৬:১৯ আয়াত)
(গ) হযরত মূসার তৃতীয় বক্তৃতা: সেই দেশের জন্য ব্যবস্থা স্থাপন (২৭-৩০ রুকু)
(ঘ) হযরত মূসার জীবনের শেষ দিনগুলো: ওয়াদা করা দেশের বাইরে ইন্তেকাল (৩১-৩৪ রুকু)
Currently Selected:
দ্বিতীয় বিবরণ ভূমিকা: MBCL
Highlight
Share
Copy
Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in
Single Column : © The Bangladesh Bible Society, 2000
Double Column : © The Bangladesh Bible Society, 2006
দ্বিতীয় বিবরণ ভূমিকা
ভূমিকা
হযরত মূসা (আঃ)-এর উপর নাজেল হওয়া তৌরাত শরীফের মধ্যে দ্বিতীয় বিবরণ নামক সিপারাটি একটি উল্লেখযোগ্য সিপারা এবং পবিত্র তৌরাতের শেষ সিপারা। পবিত্র ইঞ্জিল শরীফে দ্বিতীয় বিবরণ থেকে আশিটা উদ্বৃতি দেওয়া হয়েছে। এই সিপারার নামের দরুন অনেকে একটা ভুল ধারণা করে যে, এটা কেবল হিজরত ও শুমারী সিপারায় যা যা বলা হয়েছে তার পুনরাবৃত্তি মাত্র। কিন্তু এটা কেবল পুনরাবৃত্তি নয়, এর সংগে আল্লাহ্ নতুন নতুন বিষয়ের কথাও বলেছেন। মরুভূমিতে ঘুরে বেড়াবার সময় যে সব সন্তানেরা বড় হয়ে উঠেছিল তাদের কাছে নতুনভাবে শরীয়ত জানাবার জন্য দ্বিতীয় বিবরণ লেখা হয়েছিল। বনি-ইসরাইলদের এই সব নতুন বংশধরেরা ওয়াদা করা দেশের কাছাকাছি এসেছিল। সেখানে ঢুকবার পরে যাতে তারা আল্লাহ্র দোয়া পায় সেইজন্য তাদের শরীয়ত জানা ও তা পালন করা দরকার ছিল। হযরত মূসা (আঃ) ইন্তেকাল করবার আগে বনি-ইসরাইলদের যে তিনটা বক্তৃতা দিয়েছিলেন তা দ্বিতীয় বিবরণে লেখা আছে। এর শেষ রুকুতে যেখানে তাঁর ইন্তেকালের কথা লেখা আছে তা হয়তো তিনি নিজেই নবী হিসাবে লিখে গেছেন, কিংবা হয়তো হযরত ইউসা (আঃ) অথবা অন্য আর কেউ লিখেছেন।
বিষয় সংক্ষেপ:
(ক) হযরত মূসার প্রথম বক্তৃতা: ওয়াদা করা দেশের কাছাকাছি আসা (১:১-৪:৪৩ আয়াত)
(খ) হযরত মূসার দ্বিতীয় বক্তৃতা: সেই দেশে পবিত্রতা রক্ষা করা (৪:৪৪-২৬:১৯ আয়াত)
(গ) হযরত মূসার তৃতীয় বক্তৃতা: সেই দেশের জন্য ব্যবস্থা স্থাপন (২৭-৩০ রুকু)
(ঘ) হযরত মূসার জীবনের শেষ দিনগুলো: ওয়াদা করা দেশের বাইরে ইন্তেকাল (৩১-৩৪ রুকু)
Currently Selected:
:
Highlight
Share
Copy
Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in
Single Column : © The Bangladesh Bible Society, 2000
Double Column : © The Bangladesh Bible Society, 2006