YouVersion Logo
Search Icon

ইঞ্জিল ২: মার্কুছ 1

1
হজরত ইছায় খেলাফতি পাইলা (১:১-১৩)
হজরত এহিয়া (আঃ) অর তবলিগ
1আল্লা পাকর খাছ মায়ার জন ইবনুল্লা হজরত ইছা আল-মসীর ইঞ্জিল, মানি খুশ-খবরি বয়ানির শুরু।
2বউত দিন আগে, হজরত ইশায়া নবীর কিতাবো আল্লা পাকে বাতাইছইন,
হুনো, আমি তুমার আগে
আমার পেগাম্বররে বেজিয়ার,
এইন তুমার পথ ছহি করবা।
3মরুভুমির মাজে জুরে জুরে একজনে এলান কররা,
তুমরা মালিকর পথ ছহি করো,
তান চলার রাস্তা অকল সিধা করো।
4অউ আয়াত মাফিক হজরত এহিয়া নবীয়ে মরুভুমিত গিয়া তবলিগ করতা আর তৌবার গোছল করাইতা। তাইন এলান করতা, গুনার মাফির লাগি তৌবা করো, তরিকাবন্দি লও। 5তেউ আস্তা এহুদিয়া জিলা আর জেরুজালেম টাউনর হকল মানুষ বার অইয়া এহিয়ার গেছে আইয়া, যারযির গুনার লাগি তৌবা করলা, আর এহিয়ায় তারারে জর্দান গাংগর পানিত তৌবার গোছল করাইতা।
6এহিয়া নবীয়ে উটর রুমর কাপড় ফিন্দিতা আর কমরো চামড়ার বেল্ট বান্দিতা। তাইন পাহাড়িয়া মউ আর ফরিং খাইতা। 7তাইন মানষরে কইতা, “আমার বাদে আরো একজনে তশরিফ আনরা, এইন আমা থনেও হিম্মত আলা। উন্দা অইয়া তান পাওর জুতার ফিতা খুলার লাখও আমি নায়। 8আমি তুমরারে পানিদি তৌবার গোছল করাইলাম, অইলে তাইন তুমরারে পাক রুহ দিয়া গোছল করাইবা।”
হজরত ইছার পাক গোছল আর পরিক্ষা
9অউ সময় হজরত ইছা গালিল জিলার নাছারত গাউ থনে এহিয়ার গেছে আইয়া, জর্দান গাংগো তরিকাবন্দি লইলা। 10আর পানিত বুড় দিয়া উঠতেউ ইছায় লগে লগে দেখলা আছমান দুই ভাগ অইগেছে, আল্লার রুহ পারোর ছুরত ধরিয়া তান উপরে লামিয়া আইরা। 11অউ সময় আছমান থনে আওয়াজ অইলো, “ও পুত, তুমিউ আমার খাছ মায়ার জন, তুমার উপরে আমি খুব খুশি।”
12এরবাদেউ আল্লাই পাক রুহর তাগিদে তানরে মরুভুমিত বেজা অইলো। 13অউ মরুভুমিত শয়তানে চাল্লিশ দিন ধরি ইছারে লালছ দেখাইয়া গুনা করাইতো চাইলো। হিনো জংলি জানুয়ারর লগে তাইন রইলা আর আল্লার ফিরিস্তা অকলে তান খেজমত করতা।
গালিল জিলাত হজরত ইছার মোজেজা আর তবলিগ (১:১৪-৭:২৩)
হজরত ইছার পয়লা তবলিগ কাম
14হজরত এহিয়া জেলখানাত বন্দি অওয়ার বাদে ইছা গালিল জিলাত আইয়া আল্লার বাতাইল অউ খুশ-খবরি তবলিগ করলা, 15“সময় পুরা অইগেছে, আল্লার বাদশাই নজদিক আইচ্ছে। আপনারা তৌবা করউক্কা আর অউ খুশ-খবরির উপরে ইমান আনউক্কা।”
16বাদে তাইন গালিল আওরর পারেদি আটিয়া যাইরা, অউ সময় দেখলা, সাইমন আর তান ভাই আন্দ্রিয়াছে আওরো জাল বাইরা। এরা তো মাইমল আছলা। 17ইছায় এরারে কইলা, “আমার লগে আও, আমি তুমরারে মানুষ ধরার জালুয়া বানাইমু।” 18লগে লগে এরা জালর লগ ছাড়িয়া ইছার লগে লগ ধরলা। 19অন থনে থুড়া আগে গিয়া তাইন দেখলা, ইয়াকুব আর হান্নান দুইও ভাইয়ে নাওয়ো বইয়া জাল জুইত-জাইত কররা, এরার বাফর নাম জিবুদিয়া। 20ইছায় এরারে দেখিয়াউ ডাক দিলা, ডাক হুনিয়া এরাও নিজর বাফ জিবুদিয়ারে কামলাইন্তর লগে নাওয়ো থইয়া ইছার লগ ধরলা।
জিনর আছর আলা বেটারে শিফা করা
21বাদে এরা হকলে মিলিয়া কফরনাউম টাউনো গেলা, আর ইহুদির জুম্মাবারে তারার মছিদো হামাইয়া ইছায় তালিম দিলা। হজরত মুছার রেওয়াজ মাফিক ইহুদির জুম্মাবার অইলো শুক্রবার সুরুজ ডুবা থাকি শনিবারর সুরুজ ডুবা পর্যন্ত। ই দিন কুনুজাত কাম করা হারাম। 22তান তালিম হুনিয়া মানুষ তাইজ্জুব বনিগেলা, তাইন তো তারার আলিম-উলামার লাখান বয়ান কররা না, তাইন খেমতাআলা মানষর লাখান তালিম দিরা।
23অউ সময় জিনর আছর আলা এক বেটাও অউ মছিদর ভিতরে আছিল। 24হে চিল্লাইয়া কইলো, “ও নাছারতর ইছা, আমরার লগে আপনার কুনু জায়-জরুর আছে নি? আপনে কিতা আমরারে বিনাশ করাত আইছইন নি? আমি তো আপনারে চিনি, আপনেউ আল্লার হউ পাক জন।” 25ইখান হুনিয়া ইছায় তারে ধামকি দিলা, “চুপ, অখনউ এরে ছাড়িয়া যা।” 26অউ হি জিনে বেটারে মুরানি মারিয়া জুরে চিক দিয়া ছাড়িয়া গেলগি। 27ইতা দেখিয়া হকলে তাইজ্জুব অইয়া একে-অইন্যে কইলো, “দেখরায় নি! আচানক কারবার! ইতা কুন জাতর নয়া তালিম? তান খেমতা খাটাইয়া জিন্নাতরে হুকুম দেইন, আর তারাও মানে।” 28এরদায় ইছার নাম আস্তা গালিল জিলার চাইরোবায় খুব জলদি উড়ি গেল।
সাইমনর হড়ির বাড়িত হজরত ইছা
29মছিদ থাকি বার অইয়া তাইন-তাইন ইয়াকুব আর হান্নানর লগে অইয়া সাইমন আর আন্দ্রিয়াছর বাড়িত গেলা। 30সাইমনর হড়ির খুব তাপ অইছিল, তাইন বিছনাত পড়নো আছলা। ইছায় তশরিফ আনতেউ তানরে বেমারির কথা জানাইল অইলো। 31বেমার হুনিয়া তাইন অউ বেটির আতো ধরি তুললা, আর লগে লগে তাপে ছাড়ি দিলো, বেটি উঠিয়া গিয়া এরার মেহমানদারি করাত লাগলা।
32অউ জুম্মার দিন শেষে হাইঞ্জা বালা, সুরুজ ডুবার বাদে মানষে হকল বেমারিরে আর জিনর আছর আলা মানষরে ইছার গেছে লইয়া আইলো। 33আস্তা টাউনর মানুষ আইয়া অউ বাড়ির উঠানো দলা অইগেল। 34তেউ ইছায় নানান নমুনার বউত বেমারির শিফা করলা আর বউতর লগ থনে জিন্নাত ছাড়াইলা। অইলে জিন্নাতে তান পরিচয় জানাই দিবা করি, তাইন ইতারে কুনু মাত মাতার সুযোগ দিলা না।
গালিল জিলাত তবলিগ
35বাদে পতাবালা উঠিয়া তাইন নিরাই জাগাত গিয়া দোয়া করাত বইলা। 36তেউ সাইমন আর তান লগর হকলে ইছারে তালাশ করাত বার অইলা। 37বার অইয়া তানরে পাইয়া কইলা, “হুজুর, হক্কল মানষে আপনার তালাশ করের।” 38ইছায় কইলা, “আও, আমরা অউ কান্দা-কাছার গাউয়াইন্তো গিয়া তবলিগ করি। এরলাগিউ তো আমি আইছি।” 39বাদে তাইন হারা গালিল জিলার মছিদাইন্তো গিয়া তবলিগ করলা আর জিন্নাত ছাড়াইলা।
পচা-কুষ্ঠ বেমারিরে শিফা করা
40একদিন এক পচা-কুষ্ঠ বেমারিয়ে হজরত ইছার কান্দাত আইয়া তান পাওত পড়িয়া মিনত করিয়া কইলো, “হুজুর, আপনার মর্জি অইলে আমারে শিফা করিয়া পাক-ছাফ করউক্কা।” 41বেটার বায় তান খুব দয়া হামাইলো। তাইন নিজর আত বাড়াইয়া তারে ছইয়া কইলা, “অয় আমি চাইরাম, তুমি পাক-ছাফ অও।” 42কওয়ার লগে লগে তার বেমার ভালা অইয়া হে পাক-ছাফ অইগেল। 43ইছায় অউ সময়উ তারে বিদায় দিলা আর দড়াইয়া কইলা, 44“হুনো, ইতা খবর কেউররে হুনাইও না। খালি ইমাম ছাবর গেছে গিয়া দেখাও আর পাক-ছাফ অওয়ার লাগি হজরত মুছার কিতাবর হুকুম মাফিক, কুরবানি আদায় করো। তেউ সমাজেও জানিলিবো, তুমি ভালা অইগেছো।”
45অইলে হে বারে গিয়াউ ইতা হক্কল বায় রটাই দিলো। এরদায় ইছা আর খুলা-মেলা কুনু গাউত যাইতা পারলা না। তাইন বারা নিরাই জাগাত গিয়া রওয়া লাগলো, অনোও চাইরোবায় থনে মানুষ তান গেছে আইলা।

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in