YouVersion Logo
Search Icon

যিহিষ্কেল ৪৬

৪৬
1 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা কহেন, অন্তঃপ্রাঙ্গণের পূর্বাভিমুখ দ্বার কার্যের ছয় দিন বদ্ধ থাকিবে, কিন্তু বিশ্রামদিনে খোলা হইবে, এবং অমাবস্যার দিনেও খোলা হইবে। 2 আর অধ্যক্ষ বাহির হইতে দ্বারের বারান্দার পথ দিয়া প্রবেশ করিয়া দ্বারের চৌকাঠের নিকটে দণ্ডায়মান হইবেন, এবং যাজকগণ তাঁহার হোমার্থক বলি ও মঙ্গলার্থক বলি সকল উৎসর্গ করিবে, এবং তিনি দ্বারের গোবরাটে প্রণিপাত করিবেন, পরে বাহির হইয়া আসিবেন, কিন্তু সন্ধ্যা না হইলে দ্বার বদ্ধ করা যাইবে না। 3 আর দেশের প্রজালোক সকল বিশ্রামবারে ও অমাবস্যায় সেই দ্বারের প্রবেশস্থানে সদাপ্রভুর কাছে প্রণিপাত করিবে।
4 সদাপ্রভুর উদ্দেশে অধ্যক্ষকে এই হোমবলি উৎসর্গ করিতে হইবে, বিশ্রামবারে নির্দোষ ছয়টি মেষশাবক ও নির্দোষ একটি মেষ। 5 আর ভক্ষ্য-নৈবেদ্যরূপে মেষের প্রতি এক ঐফা [সুজি], এবং মেষশাবকদের জন্য তাঁহার হাতে যতটা উঠিবে, এবং ঐফার প্রতি এক হিন তৈল। 6 আর অমাবস্যার দিনে একটি নির্দোষ গোবৎস, এবং ছয়টি মেষশাবক ও একটি মেষ, ইহারাও নির্দোষ হইবে। 7 আর ভক্ষ্য-নৈবেদ্যরূপে তিনি গোবৎসের প্রতি এক ঐফা, মেষের প্রতি এক ঐফা [সুজি], ও মেষশাবকদের জন্য তাঁহার হাতে যতটা উঠিবে, এবং ঐফার প্রতি এক হিন তৈল দিবেন। 8 আর অধ্যক্ষ যখন আসিবেন, তখন দ্বারের বারান্দার পথ দিয়া প্রবেশ করিবেন, এবং সেই পথ দিয়া বাহির হইয়া আসিবেন। 9 আর দেশের প্রজালোক সকল পর্বসময়ে যখন সদাপ্রভুর সম্মুখে আসিবে, তখন প্রণিপাত করণার্থে যে ব্যক্তি উত্তরদ্বারের পথ দিয়া প্রবেশ করিবে, সে দক্ষিণদ্বারের পথ দিয়া বাহির হইয়া আসিবে; এবং যে ব্যক্তি দক্ষিণদ্বারের পথ দিয়া প্রবেশ করিবে, সে উত্তরদ্বারের পথ দিয়া বাহির হইয়া আসিবে; যে ব্যক্তি যে দ্বারের পথ দিয়া প্রবেশ করিবে, সে তথায় ফিরিয়া যাইবে না, কিন্তু আপনার সম্মুখস্থ পথ দিয়া বাহির হইয়া আসিবে। 10 আর অধ্যক্ষ তাহাদের মধ্যে থাকিয়া তাহাদের প্রবেশকালে প্রবেশ করিবেন, ও তাহাদের বাহির হইয়া আসিবার সময় বাহির হইবেন। 11 আর উৎসবে ও পর্বে ভক্ষ্য-নৈবেদ্য গোবৎসের প্রতি এক ঐফা, মেষের প্রতি এক ঐফা [সুজি], ও মেষশাবকদের জন্য তাঁহার হাতে যতটা উঠিবে, এবং ঐফার প্রতি এক হিন তৈল লাগিবে। 12 আর অধ্যক্ষ যখন স্ব-ইচ্ছায় দত্ত দান সদাপ্রভুর উদ্দেশে হোমবলি বা মঙ্গলার্থক বলিরূপে উৎসর্গ করিবেন, তখন তাঁহার জন্য পূর্বাভিমুখ দ্বার খুলিয়া দিতে হইবে। আর তিনি বিশ্রামবারে যেমন করেন, তেমনি আপন হোমবলি ও মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গ করিবেন, পরে বাহির হইয়া আসিবেন, এবং তাঁহার বাহির হইবার পর সেই দ্বার বদ্ধ করা যাইবে। 13 আর তুমি প্রত্যহ সদাপ্রভুর উদ্দেশে হোমবলির জন্য একবর্ষীয় নির্দোষ একটি মেষশাবক উৎসর্গ করিবে; প্রত্যহ প্রাতে তাহা উৎসর্গ করিবে। 14 আর প্রত্যহ প্রাতে তাহার সহিত ভক্ষ্য-নৈবেদ্যরূপে ঐফার ষষ্ঠাংশ [সুজি], ও সেই সূক্ষ্ম সুজি আর্দ্র করণার্থে হিনের তৃতীয়াংশ তৈল, এই ভক্ষ্য-নৈবেদ্য সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গ করিবে, এই বিধি চিরকাল নিত্যস্থায়ী। 15 এইরূপে প্রত্যহ প্রাতে সেই মেষশাবক, নৈবেদ্য ও তৈল উৎসর্গ করা যাইবে। ইহা নিত্য হোমবলি।
16 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা কহেন, অধ্যক্ষ যদি আপন পুত্রগণের মধ্যে কোন একজনকে কিছু দান করেন, তবে তাহা তাহার অধিকার হইবে, তাহা তাঁহার পুত্রদের হইবে; তাহা অধিকার বলিয়া তাহাদের স্বত্ব হইবে। 17 কিন্তু তিনি যদি আপনার কোন দাসকে আপন অধিকারের কিছু দান করেন, তবে তাহা মুক্তিবৎসর পর্যন্ত তাহার থাকিবে, পরে পুনর্বার অধ্যক্ষের হইবে; কেবল তাঁহার পুত্রগণ তাঁহার অধিকার পাইবে। 18 আর অধ্যক্ষ প্রজাদিগকে দৌরাত্ম্যপূর্বক অধিকারচ্যুত করণার্থে তাহাদের অধিকার হইতে কিছু লইবেন না; তিনি আপনারই অধিকারের মধ্য হইতে আপন পুত্রদিগকে অধিকার দিবেন; যেন আমার প্রজারা আপন আপন অধিকার হইতে ছিন্নভিন্ন হইয়া না যায়।
19 পরে তিনি দ্বারের পার্শ্বস্থ প্রবেশের পথ দিয়া আমাকে যাজকদের উত্তরাভিমুখ পবিত্র কুঠরিশ্রেণীতে আনিলেন; আর দেখ পশ্চিমদিকে পশ্চাতে এক স্থান ছিল। 20 তখন তিনি আমাকে কহিলেন, এই স্থানে যাজকেরা দোষার্থক বলি ও পাপার্থক বলি পাক করিবে ও নৈবেদ্য ভাজিবে; যেন তাহারা প্রজাদিগকে পবিত্র করিবার জন্য তাহা বহিঃপ্রাঙ্গণে লইয়া না যায়। 21 পরে তিনি আমাকে বহিঃপ্রাঙ্গণে আনিয়া সেই প্রাঙ্গণের চারি কোণ দিয়া গমন করাইলেন; আর দেখ, ঐ প্রাঙ্গণের প্রত্যেক কোণে এক এক প্রাঙ্গণ ছিল। 22 প্রাঙ্গণের চারি কোণে চল্লিশ [হস্ত] দীর্ঘ ও ত্রিশ [হস্ত] প্রস্থ প্রাচীরবেষ্টিত প্রাঙ্গণ ছিল। সেই চারি কোণের প্রাঙ্গণগুলির একই পরিমাণ ছিল; 23 চারিটির মধ্যে প্রত্যেকের চারিদিকে গাঁথনি-শ্রেণী ছিল, এবং ঐ চারিদিকের গাঁথনি-শ্রেণীর তলে উনান পাতা ছিল। 24 তখন তিনি আমাকে কহিলেন, এই সকল পাচকদের গৃহ, এই স্থানে গৃহের পরিচারকেরা প্রজালোকদের বলি সিদ্ধ করিবে।

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in

YouVersion uses cookies to personalize your experience. By using our website, you accept our use of cookies as described in our Privacy Policy