YouVersion Logo
Search Icon

২ রাজাবলি ৮

আরও দুইটি ঘটনা
1 ইলীশায় যে স্ত্রীলোকটির পুত্রকে পুনর্জীবিত করিয়াছিলেন, তাঁহাকে বলিয়াছিলেন, তুমি উঠিয়া পরিবারের সহিত যে স্থানে প্রবাস করিতে পার, সেই স্থানে গিয়া প্রবাস কর; কেননা সদাপ্রভু দুর্ভিক্ষ ডাকিয়াছেন, আর তাহা আসিয়া সাত বৎসর পর্যন্ত এই দেশে থাকিবে। 2 তাহাতে সেই স্ত্রীলোকটি উঠিয়া ঈশ্বরের লোকের বাক্যানুসারে কার্য করিলেন; তিনি ও তাঁহার পরিবার গিয়া সাত বৎসর পলেষ্টীয়দের দেশে প্রবাস করিলেন। 3 সাত বৎসরের শেষে সেই স্ত্রীলোকটি পলেষ্টীয়দের দেশ হইতে ফিরিয়া আসিলেন, আর আপন বাটী ও ভূমির জন্য রাজার কাছে কাঁদিতে গেলেন। 4 ঐ সময়ে রাজা ঈশ্বরের লোকের চাকর গেহসির সহিত কথা কহিতেছিলেন; তিনি বলিলেন, ইলীশায় যে সকল মহৎ কর্ম করিয়াছেন, সেই সমস্তের বৃত্তান্ত আমাকে বল। 5 তাহাতে ইলীশায় কিরূপে মৃতকে পুনর্জীবিত করিয়াছিলেন, তাহার বিবরণ সে রাজাকে কহিতেছে, আর দেখ, যাঁহার পুত্রকে তিনি পুনর্জীবিত করিয়াছিলেন, সেই স্ত্রীলোকটি আপন বাটী ও ভূমির জন্য রাজার কাছে আসিয়া কাঁদিতে লাগিলেন। তখন গেহসি কহিল, হে আমার প্রভু মহারাজ, এই সেই স্ত্রীলোক, এবং এই তাঁহার পুত্র, যাহাকে ইলীশায় পুনর্জীবিত করিয়াছিলেন। 6 আর রাজা স্ত্রীলোকটিকে জিজ্ঞাসা করিলে তিনি তাঁহাকে সকল বৃত্তান্ত কহিলেন। আর রাজা তাঁহার পক্ষে একজন কর্মচারীকে নিযুক্ত করিয়া কহিলেন, ইহার সর্বস্ব, এবং এ যেদিন দেশ ত্যাগ করিয়াছে, সেই দিনাবধি অদ্য পর্যন্ত উৎপন্ন ইহার ক্ষেত্রের সমস্ত উপস্বত্ব ইহাকে ফিরাইয়া দেও।
7 একদা ইলীশায় দম্মেশকে উপস্থিত হন। তখন অরাম-রাজ বিন্‌হদদ পীড়িত ছিলেন; তিনি সংবাদ পাইলেন যে, ঈশ্বরের লোক এই স্থান পর্যন্ত আসিয়াছেন। 8 তখন রাজা হসায়েলকে কহিলেন, তুমি উপহার সঙ্গে লইয়া ঈশ্বরের লোকের সহিত সাক্ষাৎ করিতে যাও, এবং তাঁহার দ্বারা সদাপ্রভুকে জিজ্ঞাসা কর, এই পীড়াতে আমি কি বাঁচিব? 9 পরে হসায়েল তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে গেলেন। তিনি উপহার সঙ্গে লইয়া, এমন কি, সর্বপ্রকার উত্তম বস্তু চল্লিশটি উষ্ট্রের পৃষ্ঠে করিয়া দম্মেশকে আসিয়া তাঁহার সম্মুখে দাঁড়াইয়া কহিলেন, আপনার পুত্র অরাম-রাজ বিন্‌হদদ আপনার কাছে আমাকে পাঠাইয়া জিজ্ঞাসা করিতেছেন, এই পীড়াতে আমি কি বাঁচিব? 10 ইলীশায় তাঁহাকে কহিলেন, আপনি গিয়া তাঁহাকে বলুন, অবশ্য বাঁচিতে পারেন; তথাপি ইহা সদাপ্রভু আমাকে জ্ঞাত করিয়াছেন যে, তিনি অবশ্য মরিবেন। 11 আর হসায়েল যে পর্যন্ত লজ্জা না পাইলেন, সেই পর্যন্ত তিনি তাঁহার প্রতি স্থিরদৃষ্টি করিয়া রহিলেন; পরে ঈশ্বরের লোক রোদন করিতে লাগিলেন। 12 হসায়েল জিজ্ঞাসা করিলেন, আমার প্রভু কেন রোদন করেন? তিনি উত্তর করিলেন, কারণ এই, আপনি ইস্রায়েল-সন্তানগণের যে অনিষ্ট করিবেন, তাহা আমি জানি; আপনি তাহাদের দৃঢ় দুর্গ সকল আগুনে পোড়াইয়া দিবেন, তাহাদের যুবকগণকে খড়্‌গ দ্বারা বধ করিবেন, তাহাদের শিশুগণকে ধরিয়া আছাড় মারিবেন, ও তাহাদের গর্ভবতী স্ত্রীলোকদের উদর বিদীর্ণ করিবেন। 13 হসায়েল কহিলেন, আপনার এই কুকুর তুল্য দাস কে যে, এমন মহৎ কর্ম করিবে? ইলীশায় কহিলেন, সদাপ্রভু আমাকে দেখাইয়াছেন যে, আপনি অরামের রাজা হইবেন। 14 তখন তিনি ইলীশায়ের নিকট হইতে প্রস্থান করিয়া আপন প্রভুর কাছে গেলেন; রাজা তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, ইলীশায় তোমাকে কি কহিলেন? হসায়েল বলিলেন, তিনি আমাকে কহিলেন, আপনি অবশ্য বাঁচিবেন। 15 কিন্তু পর দিবসে হসায়েল কম্বল জলে ডুবাইয়া রাজার মুখের উপরে বিস্তার করিলেন, তাহাতে তিনি মরিলেন, এবং হসায়েল তাঁহার পদে রাজা হইলেন।
যিহূদার যিহোরাম ও অহসিয় রাজার বিবরণ
16 ইস্রায়েল-রাজ আহাবের পুত্র যোরামের পঞ্চম বৎসরে, যখন যিহোশাফট যিহূদার রাজা ছিলেন, তখন যিহূদা-রাজ যিহোশাফটের পুত্র যিহোরাম রাজত্ব করিতে আরম্ভ করেন। 17 তিনি বত্রিশ বৎসর বয়সে রাজত্ব করিতে আরম্ভ করিয়া যিরূশালেমে আট বৎসর কাল রাজত্ব করেন। 18 আহাবের কুল যেমন করিত, তিনিও তেমনি ইস্রায়েলের রাজাদের পথে চলিতেন, কারণ তিনি আহাবের কন্যাকে বিবাহ করিয়াছিলেন; ফলে সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যাহা মন্দ, তাহাই তিনি করিতেন। 19 তথাপি আপন দাস দায়ূদের জন্য সদাপ্রভু যিহূদাকে বিনষ্ট করিতে চাহিলেন না, তিনি ত দায়ূদের কাছে প্রতিজ্ঞা করিয়াছিলেন যে, তাঁহাকে তাঁহার সন্তানগণের জন্য নিয়ত এক প্রদীপ দিবেন।
20 তাঁহার সময়ে ইদোম যিহূদার অধীনতা অস্বীকার করিয়া আপনাদের উপরে একজনকে রাজা করিল। 21 অতএব যোরাম আপন সমস্ত রথ সঙ্গে লইয়া সায়ীরে যাত্রা করিলেন; আর রাত্রিকালে তিনি উঠিয়া, যাহারা তাঁহাকে বেষ্টন করিয়াছিল, সেই ইদোমীয়দিগকে ও তাহাদের রথের অধ্যক্ষদিগকে আঘাত করিলেন, আর সেই লোকেরা আপন আপন তাম্বুতে পলাইয়া গেল। 22 এইরূপে ইদোম অদ্য পর্যন্ত যিহূদার অধীনতা অস্বীকার করিয়া রহিয়াছে। আর ঐ সময়ে লিব্‌নাও অধীনতা অস্বীকার করিল। 23 যোরামের অবশিষ্ট কর্মের বৃত্তান্ত ও সমস্ত কার্যের বিবরণ কি যিহূদা-রাজগণের ইতিহাস-পুস্তকে লিখিত নাই? 24 পরে যোরাম আপন পিতৃলোকদের সহিত নিদ্রাগত হইলেন, এবং দায়ূদ-নগরে আপন পিতৃলোকদের সহিত কবরপ্রাপ্ত হইলেন; আর তাঁহার পুত্র অহসিয় তাঁহার পদে রাজা হইলেন।
25 ইস্রায়েল-রাজ আহাবের পুত্র যোরামের দ্বাদশ বৎসরে যিহূদা-রাজ যিহোরামের পুত্র অহসিয় রাজত্ব করিতে আরম্ভ করেন। 26 অহসিয় বাইশ বৎসর বয়সে রাজত্ব করিতে আরম্ভ করিয়া যিরূশালেমে এক বৎসর রাজত্ব করেন। তাঁহার মাতার নাম অথলিয়া, তিনি ইস্রায়েল-রাজ অম্রির পৌত্রী। 27 অহসিয় আহাব-কুলের পথে চলিতেন, সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যাহা মন্দ, আহাব-কুলের ন্যায় তাহাই করিতেন, কেননা তিনি আহাব-কুলের জামাতা ছিলেন।
28 তিনি আহাবের পুত্র যোরামের সঙ্গে অরাম-রাজ হসায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিবার জন্য রামোৎ-গিলিয়দে গেলেন; তাহাতে অরামীয়েরা যোরামকে ক্ষতবিক্ষত করিল। 29 অতএব যোরাম রাজা অরাম-রাজ হসায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিবার সময়ে রামাতে অরামীয়েরা তাঁহাকে যে সকল আঘাত করে, তাহা হইতে আরোগ্য পাইবার জন্য যিষ্রিয়েলে ফিরিয়া গেলেন; আর আহাবের পুত্র যোরামের পীড়া প্রযুক্ত যিহূদা-রাজ যিহোরামের পুত্র অহসিয় তাঁহাকে দেখিতে যিষ্রিয়েলে নামিয়া গেলেন।

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in

YouVersion uses cookies to personalize your experience. By using our website, you accept our use of cookies as described in our Privacy Policy