ইঞ্জিল ৪: হান্নান 13
13
উম্মত অকলরে হজরত ইছার আখেরি তালিম (১৩:১-১৭:২৬)
সাহাবি অকলর পাও ধোয়াইলা
1আজাদি ইদর থুড়া আগর ঘটনা। ইছায় বুজিলিলা, তাইন ই দুনিয়া ছাড়িয়া তান গাইবি বাফর গেছে যাইবার সময় আইচ্ছে। দুনিয়াত যেরা তান আপন মানুষ আছলা, তারারে তাইন খুব মায়া করতা আর হেশ পর্যন্ত অলা মায়া করিয়াউ গেছইন। 2রাইতকুর খানিত বইবার আগর কথা, হজরত ইছারে দুশমনর আতো ধরাই দিবার লাগি, ইবলিছে আইয়া সাইমন ইস্কারিয়াতর পুয়া ইহুদার মনো খাইশ জাগাই দিলো। 3ইছায় জানতা, তান গাইবি বাফ আল্লায় তান আতো হকলতা সপি দিছইন, তাইন আল্লার গেছ থাকি আইছইন আর তান গেছেউ ফিরিয়া যাইরা। 4এরলাগি তাইন খাওয়া থাকি উঠলা আর ফিন্নর পাইঞ্জাবি খুলিয়া একখান গামছা কমরো বান্দিলা। 5বাদে তাইন গামলার মাজে পানি লইয়া সাহাবি অকলর পাও ধোয়াই দিলা, আর কমরর গামছাদি পাও ফুছিয়া দেওয়াত লাগলা।
6অউ লাখান তাইন যেবলা সাইমন-পিতরর গেছে আইলা, পিতরে কইলা, “হুজুর, ইতা কিতা করইন, আপনে আমার পাও ধোয়াইয়া দিতা নি?” 7তাইন কইলা, “আমি যেতা করিয়ার, অখন তুমি ইতার মানি বুজতায় নায়, বাদে বুজবায়।” 8অউ পিতরে তানরে কইলা, “জি না, আপনে কুনুমন্তেউ আমার পাও ধোয়াই দিবা না।” ইছায় কইলা, “আমি যুদি তুমার পাও ধইয়া না দেই, তে তুমার লগে আমার কুনু খাতির নাই।” 9তেউ সাইমন-পিতরে কইলা, “হুজুর, তে খালি পাও নায়, আমার মাথা আর আতও ধোয়াইয়া দেউক্কা”। 10তাইন কইলা, “যে মানষে গোছল করছে, তার পাও ছাড়া আর কুন্তা ধোয়ার জরুর নায়, তার তো হকলতা পরিস্কার আছে। তুমরাও নিচ্চয় পরিস্কার আছো, অইলে হকল নায়।” 11আসলে দুশমনর আতো কে তানরে ধরাই দিবো, ইখান তাইন জানতা। এরদায় তাইন কইলা, “তুমরা হকল পরিস্কার নায়।”
12সাহাবি অকলর পাও ধোয়াইয়া হারলে ইছায় তান পাইঞ্জাবি ফিন্দিয়া হিরবার বইলা আর তারারে কইলা, “আমি কিতা করলাম, তুমরা ইতা বুজছো নি? 13তুমরা আমারে উস্তাদ আর মালিক কইয়া ডাকো, ইখান ঠিকউ, আমিউ তুমরার উস্তাদ আর মালিক। 14আর আমি তুমরার উস্তাদ আর মালিক অইয়াও যেবলা তুমরার পাও ধোয়াইয়া দিলাম, তে তুমরাও অলা একে-অইন্যর পাও ধোয়াই দেওয়া জরুর। 15আমি ইলা করিয়া দেখাইলাম, যাতে আমি যেলা করলাম তুমরাও অলা করো। 16আমি তুমরারে হাছাউ কইরাম, গুলাম তার মুনিব থাকি বড় নায়। আর যারে পাঠানি অইছে, হে তার পাঠাওরা থাকি বড় নায়। 17ইতা জানিয়া যুদি আমল করো, তে তুমরা ধইন্য।
18“আমি তুমরা হকলর বেয়াপারে কইরাম না। আমি যেরারে পছন্দ করছি তারারে তো চিনি। হুনো, আল্লার কালামর আয়াত তো ফলিতে অইবো, লেখা আছে, ‘আমার লগে বইয়া যেগুয়ে খাওয়া-দাওয়া করে, হগুয়ে আমার উপরে পাও তুলছে।’ 19ইতা ঘটার আগেউ আমি তুমরারে জানাই দিলাম, তেউ ঘটার বাদে তুমরা বুজবায়, আমিউ হেইন। 20আমি তুমরারে হাছাউ কইরাম, আমি যারে পাঠাই, তারে যে জনে কবুল করে, হে আসলে আমারেউ কবুল করে। আর যে জনে আমারে কবুল করে, হে তানরেউ কবুল করে, যেইন আমারে পাঠাইছইন।”
বেইমান ইহুদা
21অখান কইয়া হারলে হজরত ইছার দিল পেরেশান অইগেল। তাইন খুলিয়া কইলা, “আমি হক কথা কইরাম, তুমরার মাজর একজনেউ আমারে দুশমনর আতো ধরাই দিবো।” 22তাইন কার কথা কইরা, সাহাবি অকলে ইখান না বুজায় একে-অইন্যর বায় চাই রইলা। 23এরার মাজর যে সাহাবিরে ইছায় মায়া করতা, এইন ইছার কুলো এলাইন দিয়া বওয়াত আছলা। 24সাইমন-পিতরে এনরে ইশারা দিয়া কইলা, তুমি জিকাও, তাইন কার কথা কইরা। 25তেউ অউ সাহাবিয়ে ইছার বায় জুকিয়া কইলা, “হুজুর, কে অউ জন?” 26ইছায় জুয়াপ দিলা, “অউ রুটির টুকরা বউলো ভিজাইয়া যারে দিমু, হে-উ অউ জন।” আর অউ রুটি তাইন সাইমন ইস্কারিয়াতর পুয়া ইহুদারে দিলা। 27রুটির টুকরা লওয়ার লগে লগেউ ইবলিছ ইহুদার ভিতরে হামাইলো। ইছায় তারে কইলা, “যেতা করতায় চাও, জলদি করিলাও।”
28ইছার লগে যারা খাওয়াত বইছলা, তারা কেউ বুজলা না, তাইন ইহুদারে কেনে ইখান কইছইন। 29কেউ কেউ মনো করলো, ইদর বাজার করার লাগি ইছায় ইহুদারে অখান কইছইন বা গরিব অকলরে কুন্তা দেওয়ার কথা কইছইন, কারন টেকার থলি তো ইহুদার গেছেউ থাকতো। 30রুটির টুকরা লওয়ার লগে লগে ইহুদা বার অইয়া গেলগি। ই সময় রাইত আছিল।
নয়া হুকুম
31ইহুদা বারে গিয়া হারলে ইছায় কইলা, “বিন-আদমর মহিমা জাইর করার সময় আইচ্ছে, তান মাজদি আল্লার মহিমা জাইর অইবো। 32আর আল্লার মহিমা যেবলা তান মাজদি জাইর অইবো, অউ সময় আল্লায়ও নিজর মাজে বিন-আদমর মহিমা জাইর করবা, ইতা তাইন খুব জলদিউ করবা। 33ও আওলাদ অকল, আমি আর বেশি দিন তুমরার গেছে রইতাম নায়। তে ইহুদি নেতা অকলরে আগে যেলা কইছলাম, তুমরা আমারে তালাশ করবায়, অইলে আমি যেখানো যাইমু তুমরা হিনো যাইতায় পারতায় নায়, অখন অউ কথা তুমরারেও কইরাম। 34আমি তুমরারে একখান নয়া হুকুম দিরাম, তুমরা একে-অইন্যরে মায়া করিও। আমি যেলা তুমরারে মায়া করছি, তুমরাও অলা একে-অইন্যরে মায়া করিও। 35তুমরা যুদি একে-অইন্যরে মায়া করো, তে হকলে বুজবো তুমরা আমার উম্মত।”
সাহাবি পিতরর অস্বীকারর কথা
36সাইমন-পিতরে ইছারে কইলা, “হুজুর, আপনে কুয়াই যাইরা?” তাইন কইলা, “আমি যেনো যাইরাম, তুমরা অখন আমার লগে হিনো আইতায় পারতায় নায়, অইলে বাদে আইবায়।” 37পিতরে কইলা, “অখন কেনে যাইতাম পারতাম নায়? আপনার লাগি আমি আমার জানও বিলাই দিমু।” 38অউ সময় ইছায় কইলা, “আমার লাগি হাছাউ তুমার জান দিবায় নি? তে হাছা কথা আমি তুমারে কইরাম, মুরগায় বাং দিবার আগেউ, তুমি তিনবার কইবায়, তুমি আমারে চিনো না।”
Iliyochaguliwa sasa
ইঞ্জিল ৪: হান্নান 13: sylB
Kuonyesha
Shirikisha
Nakili

Je, ungependa vivutio vyako vihifadhiwe kwenye vifaa vyako vyote? Jisajili au ingia
© Ahle Kitab Society. All rights reserved.
ইঞ্জিল ৪: হান্নান 13
13
উম্মত অকলরে হজরত ইছার আখেরি তালিম (১৩:১-১৭:২৬)
সাহাবি অকলর পাও ধোয়াইলা
1আজাদি ইদর থুড়া আগর ঘটনা। ইছায় বুজিলিলা, তাইন ই দুনিয়া ছাড়িয়া তান গাইবি বাফর গেছে যাইবার সময় আইচ্ছে। দুনিয়াত যেরা তান আপন মানুষ আছলা, তারারে তাইন খুব মায়া করতা আর হেশ পর্যন্ত অলা মায়া করিয়াউ গেছইন। 2রাইতকুর খানিত বইবার আগর কথা, হজরত ইছারে দুশমনর আতো ধরাই দিবার লাগি, ইবলিছে আইয়া সাইমন ইস্কারিয়াতর পুয়া ইহুদার মনো খাইশ জাগাই দিলো। 3ইছায় জানতা, তান গাইবি বাফ আল্লায় তান আতো হকলতা সপি দিছইন, তাইন আল্লার গেছ থাকি আইছইন আর তান গেছেউ ফিরিয়া যাইরা। 4এরলাগি তাইন খাওয়া থাকি উঠলা আর ফিন্নর পাইঞ্জাবি খুলিয়া একখান গামছা কমরো বান্দিলা। 5বাদে তাইন গামলার মাজে পানি লইয়া সাহাবি অকলর পাও ধোয়াই দিলা, আর কমরর গামছাদি পাও ফুছিয়া দেওয়াত লাগলা।
6অউ লাখান তাইন যেবলা সাইমন-পিতরর গেছে আইলা, পিতরে কইলা, “হুজুর, ইতা কিতা করইন, আপনে আমার পাও ধোয়াইয়া দিতা নি?” 7তাইন কইলা, “আমি যেতা করিয়ার, অখন তুমি ইতার মানি বুজতায় নায়, বাদে বুজবায়।” 8অউ পিতরে তানরে কইলা, “জি না, আপনে কুনুমন্তেউ আমার পাও ধোয়াই দিবা না।” ইছায় কইলা, “আমি যুদি তুমার পাও ধইয়া না দেই, তে তুমার লগে আমার কুনু খাতির নাই।” 9তেউ সাইমন-পিতরে কইলা, “হুজুর, তে খালি পাও নায়, আমার মাথা আর আতও ধোয়াইয়া দেউক্কা”। 10তাইন কইলা, “যে মানষে গোছল করছে, তার পাও ছাড়া আর কুন্তা ধোয়ার জরুর নায়, তার তো হকলতা পরিস্কার আছে। তুমরাও নিচ্চয় পরিস্কার আছো, অইলে হকল নায়।” 11আসলে দুশমনর আতো কে তানরে ধরাই দিবো, ইখান তাইন জানতা। এরদায় তাইন কইলা, “তুমরা হকল পরিস্কার নায়।”
12সাহাবি অকলর পাও ধোয়াইয়া হারলে ইছায় তান পাইঞ্জাবি ফিন্দিয়া হিরবার বইলা আর তারারে কইলা, “আমি কিতা করলাম, তুমরা ইতা বুজছো নি? 13তুমরা আমারে উস্তাদ আর মালিক কইয়া ডাকো, ইখান ঠিকউ, আমিউ তুমরার উস্তাদ আর মালিক। 14আর আমি তুমরার উস্তাদ আর মালিক অইয়াও যেবলা তুমরার পাও ধোয়াইয়া দিলাম, তে তুমরাও অলা একে-অইন্যর পাও ধোয়াই দেওয়া জরুর। 15আমি ইলা করিয়া দেখাইলাম, যাতে আমি যেলা করলাম তুমরাও অলা করো। 16আমি তুমরারে হাছাউ কইরাম, গুলাম তার মুনিব থাকি বড় নায়। আর যারে পাঠানি অইছে, হে তার পাঠাওরা থাকি বড় নায়। 17ইতা জানিয়া যুদি আমল করো, তে তুমরা ধইন্য।
18“আমি তুমরা হকলর বেয়াপারে কইরাম না। আমি যেরারে পছন্দ করছি তারারে তো চিনি। হুনো, আল্লার কালামর আয়াত তো ফলিতে অইবো, লেখা আছে, ‘আমার লগে বইয়া যেগুয়ে খাওয়া-দাওয়া করে, হগুয়ে আমার উপরে পাও তুলছে।’ 19ইতা ঘটার আগেউ আমি তুমরারে জানাই দিলাম, তেউ ঘটার বাদে তুমরা বুজবায়, আমিউ হেইন। 20আমি তুমরারে হাছাউ কইরাম, আমি যারে পাঠাই, তারে যে জনে কবুল করে, হে আসলে আমারেউ কবুল করে। আর যে জনে আমারে কবুল করে, হে তানরেউ কবুল করে, যেইন আমারে পাঠাইছইন।”
বেইমান ইহুদা
21অখান কইয়া হারলে হজরত ইছার দিল পেরেশান অইগেল। তাইন খুলিয়া কইলা, “আমি হক কথা কইরাম, তুমরার মাজর একজনেউ আমারে দুশমনর আতো ধরাই দিবো।” 22তাইন কার কথা কইরা, সাহাবি অকলে ইখান না বুজায় একে-অইন্যর বায় চাই রইলা। 23এরার মাজর যে সাহাবিরে ইছায় মায়া করতা, এইন ইছার কুলো এলাইন দিয়া বওয়াত আছলা। 24সাইমন-পিতরে এনরে ইশারা দিয়া কইলা, তুমি জিকাও, তাইন কার কথা কইরা। 25তেউ অউ সাহাবিয়ে ইছার বায় জুকিয়া কইলা, “হুজুর, কে অউ জন?” 26ইছায় জুয়াপ দিলা, “অউ রুটির টুকরা বউলো ভিজাইয়া যারে দিমু, হে-উ অউ জন।” আর অউ রুটি তাইন সাইমন ইস্কারিয়াতর পুয়া ইহুদারে দিলা। 27রুটির টুকরা লওয়ার লগে লগেউ ইবলিছ ইহুদার ভিতরে হামাইলো। ইছায় তারে কইলা, “যেতা করতায় চাও, জলদি করিলাও।”
28ইছার লগে যারা খাওয়াত বইছলা, তারা কেউ বুজলা না, তাইন ইহুদারে কেনে ইখান কইছইন। 29কেউ কেউ মনো করলো, ইদর বাজার করার লাগি ইছায় ইহুদারে অখান কইছইন বা গরিব অকলরে কুন্তা দেওয়ার কথা কইছইন, কারন টেকার থলি তো ইহুদার গেছেউ থাকতো। 30রুটির টুকরা লওয়ার লগে লগে ইহুদা বার অইয়া গেলগি। ই সময় রাইত আছিল।
নয়া হুকুম
31ইহুদা বারে গিয়া হারলে ইছায় কইলা, “বিন-আদমর মহিমা জাইর করার সময় আইচ্ছে, তান মাজদি আল্লার মহিমা জাইর অইবো। 32আর আল্লার মহিমা যেবলা তান মাজদি জাইর অইবো, অউ সময় আল্লায়ও নিজর মাজে বিন-আদমর মহিমা জাইর করবা, ইতা তাইন খুব জলদিউ করবা। 33ও আওলাদ অকল, আমি আর বেশি দিন তুমরার গেছে রইতাম নায়। তে ইহুদি নেতা অকলরে আগে যেলা কইছলাম, তুমরা আমারে তালাশ করবায়, অইলে আমি যেখানো যাইমু তুমরা হিনো যাইতায় পারতায় নায়, অখন অউ কথা তুমরারেও কইরাম। 34আমি তুমরারে একখান নয়া হুকুম দিরাম, তুমরা একে-অইন্যরে মায়া করিও। আমি যেলা তুমরারে মায়া করছি, তুমরাও অলা একে-অইন্যরে মায়া করিও। 35তুমরা যুদি একে-অইন্যরে মায়া করো, তে হকলে বুজবো তুমরা আমার উম্মত।”
সাহাবি পিতরর অস্বীকারর কথা
36সাইমন-পিতরে ইছারে কইলা, “হুজুর, আপনে কুয়াই যাইরা?” তাইন কইলা, “আমি যেনো যাইরাম, তুমরা অখন আমার লগে হিনো আইতায় পারতায় নায়, অইলে বাদে আইবায়।” 37পিতরে কইলা, “অখন কেনে যাইতাম পারতাম নায়? আপনার লাগি আমি আমার জানও বিলাই দিমু।” 38অউ সময় ইছায় কইলা, “আমার লাগি হাছাউ তুমার জান দিবায় নি? তে হাছা কথা আমি তুমারে কইরাম, মুরগায় বাং দিবার আগেউ, তুমি তিনবার কইবায়, তুমি আমারে চিনো না।”
Iliyochaguliwa sasa
:
Kuonyesha
Shirikisha
Nakili

Je, ungependa vivutio vyako vihifadhiwe kwenye vifaa vyako vyote? Jisajili au ingia
© Ahle Kitab Society. All rights reserved.