লূক ভূমিকা

ভূমিকা
সাধু লূকের লিখিত সুসমাচারে যীশুকে একই সঙ্গে ইস্রায়েলের প্রতিশ্রুত পরিত্রাতা এবং সমগ্র মানব জাতির পরিত্রাতারূপে দেখানো হইয়াছে। লূকের দেওয়া বিবরণে আছে, “দরিদ্রদের নিকটে সুসমাচার প্রচারের জন্য” সদাপ্রভুর আত্মা যীশুকে আহ্বান করিয়াছিলেন। এই সুসমাচারিটি সর্বপ্রকারের অভাবী মানুষের কথায় পূর্ণ। সাধু লূকের রচনায় আনন্দের সুরও শুনা যায়, বিশেষতঃ প্রথম অধ্যায়ে যখন যীশুর আগমন বার্তা ঘোষিত হইতেছে এবং শেষ অধ্যায়ে যীশু যখন স্বর্গারোহণ করিতেছেন। খ্রীষ্টের স্বর্গারোহণের পর খ্রীষ্টীয় বিশ্বাসের সূচনা ও বিস্তারের কাহিনী এই একই লেখক ‘প্রেরিতদের কার্যবিবরণ’ পুস্তকে লিখিয়া গিয়াছেন।
২য় এবং ৬ষ্ঠ অধ্যায়ে (নিচে বিষয়বস্তুর রূপরেখা দ্রষ্টব্য) অনেক ঘটনার বিবরণ আছে যাহা শুধুমাত্র এই সুসমাচারেই আছে, যেমন স্বর্গদূতদের সঙ্গীতের কাহিনী এবং যীশুর জন্মের সময় দর্শণার্থী মেষপালকদের কাহিনী, মন্দিরে বালক যীশু, কে আমার প্রতিবাসী (দয়ালু শমরীয়) এবং হারানো পুত্রের দৃষ্টান্ত। সমগ্র সুসমাচারে প্রার্থনা, পবিত্র আত্মা, যীশুর পরিচর্যা কার্য, নারীর ভূমিকা এবং পাপক্ষমা সম্বন্ধে সবিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হইয়াছে।
বিষয়বস্তুর রূপরেখা:
ভূমিকা - ১:১-৪
বাপ্তিস্মদাতা যোহন, যীশুর জন্ম ও বাল্যকাল - ১:৫—২:৫২
বাপ্তিস্মদাতা যোহনের পরিচর্যা কার্য - ৩:১-২০
যীশুর বাপ্তিস্ম ও প্রলোভন - ৩:২১—৪:১৩
গালীলে যীশুর পরিচর্যা কার্য - ৪:১৪—৯:৫০
গালীল হইতে যিরূশালেম - ৯:৫১—১৯:২৭
যিরূশালেম ও যিরূশালেমের নিকটে শেষ সপ্তাহের ঘটনা - ১৯:২৮—২৩:৫৬
প্রভুর পুনরুত্থান, আবির্ভাব এবং স্বর্গারোহণ - ২৪:১-৫৩

Märk

Dela

Kopiera

None

Vill du ha dina höjdpunkter sparade på alla dina enheter? Registrera dig eller logga in