YouVersion Logo
Search Icon

প্রকাশিত বাক্য ভূমিকা

ভূমিকা
পবিত্র বাইবেলের এই শেষ বইখানা যে বাইবেলের অন্যান্য বই থেকে আলাদা তা তার প্রথম বাক্য থেকে বুঝা যায়: “এই বইয়ের মধ্যে যা লেখা হয়েছে তা যীশু খ্রীষ্টই প্রকাশ করেছেন।” প্রকাশিত বাক্যের মধ্যে ঈশ্বর যে সত্য প্রকাশ করেছেন তার অনেক খানি দানিয়েল, যিহিষ্কেল ও সখরিয় নামে পুরাতন নিয়মের নবীদের লেখায় পাওয়া যায়। বইটি ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে ঈশ্বরের দেওয়া বিভিন্ন দর্শনে পূর্ণ যার মধ্যে নানা রকম প্রতীক চিহ্ন ও রূপক অর্থ আছে। এই বইটি লেখা হয়েছে সেই সময় যখন প্রভু হিসাবে যীশু খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাস স্থাপনের দরুন খ্রীষ্টানেরা অত্যাচারিত হচ্ছিল। এই বইয়ের পাঠকদের আশা ও উৎসাহ দেওয়াই ছিল যোহনের প্রধান উদ্দেশ্য যাতে অত্যাচারের সময় তারা বিশ্বস্ত থাকতে পারে। এই বইয়ে পরিষ্কারভাবে প্রকাশ করা হয়েছে যে, শেষে ঈশ্বর তাঁর সমস্ত শত্রুদের এমন কি শয়তানকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে ফেলবেন। যীশু খ্রীষ্টের মধ্য দিয়েই তিনি সেই কাজ করবেন। যারা ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বস্ত থাকবে ঈশ্বর তাদের পুরস্কার দেবেন। প্রকাশিত বাক্য ভাল করে বুঝবার জন্য ১:১৯ পদে খ্রীষ্ট যোহনকে যে তিনটি সময়ে কথা বলেছিলেন সেই সময়ের কথা অনুসারে বইটিকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। সেই তিনটি সময়ের কথা হল: “এইজন্য তুমি যা দেখলে, যা এখন ঘটছে এবং পরে যা ঘটবে সেই সব লিখে রাখ” (১:১৯)।
বিষয় সংক্ষেপ:
(ক) ভূমিকা (১:১-৮ পদ)
(খ) যোহন যে সব ব্যাপার দেখেছিলেন (১:৯-২০ পদ)
(গ) যা এখন ঘটছে: সাতটা মণ্ডলীতে যা ঘটছে (২,৩ অধ্যায়)
(ঘ) এর পরে যা কিছু ঘটবে (৪:১-২২:৫ পদ)
(1) সাতটা সীলমোহর দেওয়া জড়ানো বই (৪:১-৮:১ পদ)
(2) সাতটা তূরী (৮:২-১১:১৯ পদ)
(3) নানা রকম দর্শন (১২-১৫ অধ্যায়)
(4) ঈশ্বরের ক্রোধে পূর্ণ সাতটা বাটি (১৬ অধ্যায়)
(5) ঈশ্বরের শত্রুদের পরাজয় (১৭:১-২০:১০ পদ)
(6) শেষ বিচার (২০:১১-১৫ পদ)
(7) নতুন আকাশ, নতুন পৃথিবী ও নতুন যিরূশালেম (২১:১-২২:৫ পদ)
(ঙ) শেষবার সতর্ক করা, সান্ত্বনাদান, আমন্ত্রণ ও আশীর্বচন (২২:৬-২১ পদ)

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in

YouVersion uses cookies to personalize your experience. By using our website, you accept our use of cookies as described in our Privacy Policy