রোমীয় ৯
৯
যিহূদীরা যীশু খ্রীষ্টকে অগ্রাহ্য করিয়াছে
ইস্রায়েলের পতনে ঈশ্বরের দোষ নাই
1 আমি খ্রীষ্টেতে সত্য কহিতেছি, মিথ্যা কহিতেছি না, আমার বিবেকও পবিত্র আত্মাতে আমার পক্ষে সাক্ষ্য দিতেছে যে, 2 আমার হৃদয়ে ভারী দুঃখ ও নিরন্তর যাতনা হইতেছে। 3 কেননা আমার ভ্রাতৃগণের জন্য, যাহারা মাংসের সম্বন্ধে আমার স্বজাতীয় তাহাদের জন্য, আমিই যেন খ্রীষ্ট হইতে পৃথক থাকিয়া অভিশপ্ত হই, এমন কামনা করিতে পারিতাম। 4 কারণ তাহারা ইস্রায়েলীয়; দত্তকপুত্রতা, প্রতাপ, ধর্মনিয়ম সকল, ব্যবস্থাদান, আরাধনা ও প্রতিজ্ঞাসমূহ তাহাদেরই, 5 পিতৃপুরুষেরা তাহাদের, এবং মাংস অনুসারে তাহাদেরই মধ্য হইতে খ্রীষ্ট উৎপন্ন হইয়াছেন, যিনি সর্বোপরিস্থ ঈশ্বর, যুগে যুগে ধন্য, আমেন।
6 কিন্তু ঈশ্বরের বাক্য যে বিফল হইয়া পড়িয়াছে, এমন নহে; কারণ যাহারা ইস্রায়েল হইতে উৎপন্ন, তাহারা সকলেই যে ইস্রায়েল, তাহা নয়; 7 আর অব্রাহামের বংশ বলিয়া তাহারা যে সকলেই সন্তান, তাহাও নয়, কিন্তু “ইস্হাকেই তোমার বংশ আখ্যাত হইবে।” #আদি ২১:১২ 8 ইহার অর্থ এই, যাহারা মাংসের সন্তান, তাহারা যে ঈশ্বরের সন্তান, এমন নয়, কিন্তু প্রতিজ্ঞার সন্তানগণই বংশ বলিয়া গণিত হয়। 9 কেননা “এই ঋতুতেই আমি আসিব, তখন সারার এক পুত্র হইবে,” #আদি ১৮:১০ ইহা প্রতিজ্ঞারই বাক্য। 10 কেবল তাহা নয়, কিন্তু আবার রিবিকা এক ব্যক্তি হইতে, আমাদের পিতৃপুরুষ ইস্হাক হইতে, গর্ভবতী হইলে পর, 11 যখন সন্তানেরা ভূমিষ্ঠ হয় নাই, এবং ভাল-মন্দ কিছুই করে নাই, তখন- ঈশ্বরের নির্বাচনানুরূপ সঙ্কল্প যেন স্থির থাকে, কর্ম হেতু নয়, কিন্তু আহ্বানকারীর ইচ্ছা হেতু- তাঁহাকে বলা গিয়াছিল, 12 “জ্যেষ্ঠ কনিষ্ঠের দাস হইবে”, #আদি ২৫:২৩ 13 যেমন লিখিত আছে, “আমি যাকোবকে প্রেম করিয়াছি, কিন্তু এষৌকে অপ্রেম করিয়াছি।” #মালাখি ১:২,৩
14 তবে আমরা কি বলিব? ঈশ্বরে কি অন্যায় আছে? তাহা দূরে থাকুক। 15 কারণ তিনি মোশিকে বলেন, “আমি যাহাকে দয়া করি, তাহাকে দয়া করিব; ও যাহার প্রতি করুণা করি, তাহার প্রতি করুণা করিব।” #যাত্রা ৩৩:১৯ 16 অতএব যে ইচ্ছা করে, বা যে দৌড়ায়, তাহা হইতে এটি হয় না, কিন্তু দয়াকারী ঈশ্বর হইতে হয়। 17 কেননা শাস্ত্র ফরৌণকে বলে, “আমি এই জন্যই তোমাকে পাঠাইয়াছি, যেন তোমাতে আমার পরাক্রম দেখাই, আর যেন সমস্ত পৃথিবীতে আমার নাম কীর্তিত হয়।” #যাত্রা ৯:১৬ 18 অতএব তিনি যাহাকে ইচ্ছা, তাহাকে দয়া করেন; এবং যাহাকে ইচ্ছা, তাহাকে কঠিন করেন।
19 ইহাতে তুমি আমাকে বলিবে, তবে তিনি আবার দোষ ধরেন কেন? কারণ তাহার ইচ্ছার প্রতিরোধ কে করে? 20 হে মনুষ্য, বরং, তুমি কে যে ঈশ্বরের প্রতিবাদ করিতেছ? নির্মিত বস্তু কি নির্মাতাকে বলিতে পারে, আমাকে এইরূপ কেন গড়িলে? 21 কিম্বা কাদার উপরে কুম্ভকারের কি এমন অধিকার নাই যে, একই মৃৎপিণ্ড হইতে একটি সমাদরের পাত্র, আর একটি অনাদরের পাত্র গড়িতে পারে? #যিশা ৪৫:৯; যির ১৮:৬ 22 আর ইহাতেই বা কি? যদি ঈশ্বর আপন ক্রোধ দেখাইবার ও আপন পরাক্রম জানাইবার ইচ্ছা করিয়া, বিনাশার্থে পরিপক্ব ক্রোধপাত্রদের প্রতি বিপুল সহিষ্ণুতায় ধৈর্য ধরিয়া থাকেন, 23 এবং [এই জন্য করিয়া থাকেন,] যেন সেই দয়াপাত্রদের উপরে তাঁহার প্রতাপ-ধন জ্ঞাত করেন, যাহাদিগকে প্রতাপের নিমিত্ত পূর্বে প্রস্তুত করিয়াছেন, 24 আর যাহাদিগকে আহ্বান করিয়াছেন, কেবল যিহূদীদের মধ্য হইতে নয়, পরজাতিদেরও মধ্য হইতে আমাদিগকেই করিয়াছেন। 25 যেমন তিনি হোশেয় গ্রন্থেও বলেন,
“যাহারা আমার প্রজা নয়, তাহাদিগকে আমি নিজ প্রজা বলিব,
এবং যে প্রিয়তমা ছিল না, তাহাকে প্রিয়তমা বলিব।
26 আর যে স্থানে তাহাদিগকে বলা গিয়াছিল, ‘তোমরা আমার প্রজা নও,’
সেই স্থানে তাহাদিগকে বলা যাইবে ‘জীবন্ত ঈশ্বরের পুত্র’।” #হোশে ২:২৩; ১:১০
27 আর যিশাইয় ইস্রায়েলের বিষয়ে এই কথা উচ্চৈঃস্বরে বলেন, “ইস্রায়েল-সন্তানগণের সংখ্যা যদি সমুদ্রের বালুকার ন্যায়ও হয়, অবশিষ্টাংশই পরিত্রাণ পাইবে; 28 যেহেতু প্রভু পৃথিবীতে আপন বাক্য সাধন করিবেন, তাহা সম্পূর্ণ ও সংক্ষিপ্ত করিবেন।” #যিশা ১০:২২,২৩ 29 আর যেমন যিশাইয় পূর্বে বলিয়াছিলেন, “বাহিনীগণের প্রভু যদি আমাদের জন্য একটি বীজ অবশিষ্ট না রাখিতেন, তবে আমরা সদোমের তুল্য হইতাম, ও ঘমোরার তুল্য হইতাম।” #যিশা ১:৯
ইস্রায়েলের পতনের ফল কি?
30 তবে আমরা কি বলিব? পরজাতীয়েরা, যাহারা ধার্মিকতার অনুধাবন করিত না, তাহারা ধার্মিকতা পাইয়াছে, 31 বিশ্বাসমূলক ধার্মিকতা পাইয়াছে; কিন্তু ইস্রায়েল ধার্মিকতার ব্যবস্থার অনুধাবন করিয়াও সেই ব্যবস্থা পর্যন্ত পৌঁছায় নাই। 32 কারণ কি? বিশ্বাস দ্বারা নয়, কিন্তু যেন কর্ম দ্বারা তাহারা অনুধাবন করিত। 33 তাহারা সেই ব্যাঘাতজনক প্রস্তরে ব্যাঘাত পাইল; যেমন লেখা আছে,
“দেখ, আমি সিয়োনে ব্যাঘাতজনক প্রস্তর ও বিঘ্নজনক পাষাণ স্থাপন করিতেছি;
আর যে তাঁহার উপরে বিশ্বাস করে, সে লজ্জিত হইবে না।” #যিশা ৮:১৪; ২৮:১৬
Pašlaik izvēlēts:
রোমীয় ৯: বিবিএস
Izceltais
Dalīties
Kopēt

Vai vēlies, lai tevis izceltie teksti tiktu saglabāti visās tavās ierīcēs? Reģistrējieties vai pierakstieties
Copyright © 2023 Bangladesh Bible Society. All rights reserved.