প্রেরিত্ ভূমিকা
ভূমিকা
প্রেরিতদের কার্য-বিবরণ সাধু লূকের লিখিত সুসমাচারের পরবর্তী ক্রমানুযায়ী ধারাবাহিক ঘটনার বিবরণ। ইহার মূল উদ্দেশ্য, যীশুর শিষ্যরা কিভাবে পবিত্র আত্মার দ্বারা পরিচালিত হইয়া “যিরূশালেম, যিহূদিয়া, শমরিয়া এবং পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত” যীশুর সুসমাচার প্রচার করিয়াছিলেন (১:৮)। এটি হইল খ্রীষ্টীয় আন্দোলনের কাহিনী, যে আন্দোলনের সূত্রপাত হইয়াছিল যিহূদীদের মধ্যে এবং পরবর্তী অধ্যায়ে এই আন্দোলন সমগ্র পৃথিবীতে একটি ধর্মবিশ্বাসের গোড়াপত্তন করে। এই বিশ্বাস সম্পর্কে লেখক তাঁহার পাঠকদের সুনিশ্চিত করিতে চাহিয়াছেন যে, খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা রোম সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে ধ্বংসকামী কোন রাজনৈতিক হুমকিস্বরূপ নয়, বরং খ্রীষ্টীয় বিশ্বাস যিহূদী ধর্মেরই পূর্ণ পরিণত রূপ।
প্রেরিতদের কার্য-বিবরণকে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যাইতে পারেঃ যীশু খ্রীষ্ট সম্বন্ধে সুসমাচার যে বিস্তৃত অঞ্চলে প্রচারিত হইয়াছিল এবং সেই সমস্ত স্থানে খ্রীষ্টীয় মণ্ডলী স্থাপিত হইয়াছিল, তাহার পূর্ণ বিবরণ এই তিনটি ভাগে উধৃত হইয়াছে। (১) যীশুর স্বর্গারোহণের পর যিরূশালেমে খ্রীষ্টীয় আন্দোলনের শুরু, (২) প্যালেষ্টাইনের অন্যান্য অঞ্চলে এই আন্দোলনের বিস্তার এবং (৩) পরবর্তী ধাপে সুদূর রোম পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরীয় এলাকায় আন্দোলনের বিস্তৃতি।
প্রেরিতদের কার্যবিবরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হইল- পবিত্র আত্মার কার্যাবলি, যে পবিত্র আত্মা যিরূশালেমে পঞ্চাশত্তমীর দিনে খ্রীষ্ট-বিশ্বাসীদের উপরে শক্তি ও পরাক্রম লইয়া নামিয়া আসিয়াছিলেন এবং এই পুস্তকে বর্ণিত সমস্ত ঘটনা ও কার্যক্রমের সমগ্র পর্যায়ে খ্রীষ্টীয় মণ্ডলী ও তাহার নেতৃবর্গকে শক্তি দান করিয়াছিলেন ও পরিচালনা করিয়াছিলেন। প্রাথমিক যুগে প্রচারিত খ্রীষ্টীয় সুসমাচারের সারমর্ম কতকগুলি উপদেশের মধ্যে উদ্ধৃত হইয়াছে। কার্য-বিবরণে লিপিবদ্ধ ঘটনাবলির মধ্যে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের জীবনে এবং খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীর সহভাগিতার মধ্যে এই সুসমাচারের শক্তির প্রকাশ ঘটিয়াছে।
বিষয়বস্তুর রূপরেখা:
সাক্ষ্যদানের জন্য প্রস্তুতি - ১:১-২৬
(ক) যীশুর শেষ আজ্ঞা ও প্রতিশ্রুতি - ১:১-১৪
(খ) ঈষ্করিয়োতীয় যিহূদার উত্তরাধিকারী - ১:১৫-২৬
যিরূশালেমে সাক্ষ্যদান - ২:১—৮:৩
যিহূদিয়া ও শমরিয়াতে সাক্ষ্যদান - ৮:৪—১২:২৫
সাধু পৌলের পরিচর্যা কার্য - ১৩:১—২৮:৩০
(ক) প্রথম প্রচার যাত্রা - ১৩:১—১৪:২৮
(খ) যিরূশালেমে সম্মেলন - ১৫:১-৩৫
(গ) দ্বিতীয় প্রচার যাত্রা - ১৫:৩৬—১৮:২২
(ঘ) তৃতীয় প্রচার যাত্রা - ১৮:২৩—২১:১৬
(ঙ) যিরূশালেম, কৈসরিয়া এবং রোমে বন্দিরূপে সাধু পৌল - ২১:১৭—২৮:৩০
Tällä hetkellä valittuna:
প্রেরিত্ ভূমিকা: বিবিএস
Korostus
Jaa
Kopioi

Haluatko, että korostuksesi tallennetaan kaikille laitteillesi? Rekisteröidy tai kirjaudu sisään
Copyright © 2023 Bangladesh Bible Society. All rights reserved.
প্রেরিত্ ভূমিকা
ভূমিকা
প্রেরিতদের কার্য-বিবরণ সাধু লূকের লিখিত সুসমাচারের পরবর্তী ক্রমানুযায়ী ধারাবাহিক ঘটনার বিবরণ। ইহার মূল উদ্দেশ্য, যীশুর শিষ্যরা কিভাবে পবিত্র আত্মার দ্বারা পরিচালিত হইয়া “যিরূশালেম, যিহূদিয়া, শমরিয়া এবং পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত” যীশুর সুসমাচার প্রচার করিয়াছিলেন (১:৮)। এটি হইল খ্রীষ্টীয় আন্দোলনের কাহিনী, যে আন্দোলনের সূত্রপাত হইয়াছিল যিহূদীদের মধ্যে এবং পরবর্তী অধ্যায়ে এই আন্দোলন সমগ্র পৃথিবীতে একটি ধর্মবিশ্বাসের গোড়াপত্তন করে। এই বিশ্বাস সম্পর্কে লেখক তাঁহার পাঠকদের সুনিশ্চিত করিতে চাহিয়াছেন যে, খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা রোম সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে ধ্বংসকামী কোন রাজনৈতিক হুমকিস্বরূপ নয়, বরং খ্রীষ্টীয় বিশ্বাস যিহূদী ধর্মেরই পূর্ণ পরিণত রূপ।
প্রেরিতদের কার্য-বিবরণকে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যাইতে পারেঃ যীশু খ্রীষ্ট সম্বন্ধে সুসমাচার যে বিস্তৃত অঞ্চলে প্রচারিত হইয়াছিল এবং সেই সমস্ত স্থানে খ্রীষ্টীয় মণ্ডলী স্থাপিত হইয়াছিল, তাহার পূর্ণ বিবরণ এই তিনটি ভাগে উধৃত হইয়াছে। (১) যীশুর স্বর্গারোহণের পর যিরূশালেমে খ্রীষ্টীয় আন্দোলনের শুরু, (২) প্যালেষ্টাইনের অন্যান্য অঞ্চলে এই আন্দোলনের বিস্তার এবং (৩) পরবর্তী ধাপে সুদূর রোম পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরীয় এলাকায় আন্দোলনের বিস্তৃতি।
প্রেরিতদের কার্যবিবরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হইল- পবিত্র আত্মার কার্যাবলি, যে পবিত্র আত্মা যিরূশালেমে পঞ্চাশত্তমীর দিনে খ্রীষ্ট-বিশ্বাসীদের উপরে শক্তি ও পরাক্রম লইয়া নামিয়া আসিয়াছিলেন এবং এই পুস্তকে বর্ণিত সমস্ত ঘটনা ও কার্যক্রমের সমগ্র পর্যায়ে খ্রীষ্টীয় মণ্ডলী ও তাহার নেতৃবর্গকে শক্তি দান করিয়াছিলেন ও পরিচালনা করিয়াছিলেন। প্রাথমিক যুগে প্রচারিত খ্রীষ্টীয় সুসমাচারের সারমর্ম কতকগুলি উপদেশের মধ্যে উদ্ধৃত হইয়াছে। কার্য-বিবরণে লিপিবদ্ধ ঘটনাবলির মধ্যে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের জীবনে এবং খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীর সহভাগিতার মধ্যে এই সুসমাচারের শক্তির প্রকাশ ঘটিয়াছে।
বিষয়বস্তুর রূপরেখা:
সাক্ষ্যদানের জন্য প্রস্তুতি - ১:১-২৬
(ক) যীশুর শেষ আজ্ঞা ও প্রতিশ্রুতি - ১:১-১৪
(খ) ঈষ্করিয়োতীয় যিহূদার উত্তরাধিকারী - ১:১৫-২৬
যিরূশালেমে সাক্ষ্যদান - ২:১—৮:৩
যিহূদিয়া ও শমরিয়াতে সাক্ষ্যদান - ৮:৪—১২:২৫
সাধু পৌলের পরিচর্যা কার্য - ১৩:১—২৮:৩০
(ক) প্রথম প্রচার যাত্রা - ১৩:১—১৪:২৮
(খ) যিরূশালেমে সম্মেলন - ১৫:১-৩৫
(গ) দ্বিতীয় প্রচার যাত্রা - ১৫:৩৬—১৮:২২
(ঘ) তৃতীয় প্রচার যাত্রা - ১৮:২৩—২১:১৬
(ঙ) যিরূশালেম, কৈসরিয়া এবং রোমে বন্দিরূপে সাধু পৌল - ২১:১৭—২৮:৩০
Tällä hetkellä valittuna:
:
Korostus
Jaa
Kopioi

Haluatko, että korostuksesi tallennetaan kaikille laitteillesi? Rekisteröidy tai kirjaudu sisään
Copyright © 2023 Bangladesh Bible Society. All rights reserved.