উযায়ের ভূমিকা
ভূমিকা
উযায়ের নামে কিতাবটি হল বনি-ইসরাইলদের রূহানী বা ধর্মের ইতিহাস। উযায়ের শুরু হয়েছে সেখান থেকে যেখানে 2 খান্দাননামা শেষ হয়েছে। কতগুলো ব্যক্তিগত স্মৃতি কথা (৭:২৭-৯:১৫ আয়াত), বংশ-তালিকা ও দলিলপত্র একত্র করে কিতাবটি লেখা হয়েছে। এটির চার ভাগের তিন ভাগ হিব্রু ভাষায় লেখা, কিন্তু সরকারী দলিলপত্র লেখা হয়েছে আরামীয় ভাষায়- যা ছিল তখনকার সরকারী দলিলপত্র লিখবার ভাষা। যখন ব্যাবিলন সাম্রাজ্যের পতন হচ্ছিল এবং ইহুদীরা নিজেদের দেশে ফিরে আসছিল তখন উযায়ের লেখা হয়েছিল। ইহুদীদের প্রথম দল সরুব্বাবিলের পরিচালনায় প্যালেষ্টাইনে ফিরে এসেছিল (১-৬ রুকু)। শত্রুদের ভীষণ বাধার সামনে তারা কোরবানগাহ্ ও বায়তুল-মোকাদ্দস তৈরী করেছিল। তখন হযরত হগয় (আঃ) ও হযরত জাকারিয়া (আঃ) তাদের খুব উৎসাহ দিয়েছিলেন। ছয় ও সাত রুকুর মধ্যেকার সময়কাল ছিল ৫৮ বছর। সেই সময়ের মধ্যে রাণী ইষ্টেরের ঘটনা ঘটেছিল এবং দুনিয়ার ইতিহাসে লেখা মারাথন, থার্মোপীলি এবং সালামী নামে তিনটি বিখ্যাত যুদ্ধ হয়েছিল। ৪৫৮ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে হযরত উযায়ের (আঃ)-এর পরিচালনায় আর একদল ইহুদী বন্দীদশা থেকে জেরুজালেমে ফিরে এসেছিল (৭-১০ রুকু)। লোকদের সংশোধন করবার জন্য তাঁর ব্যক্তিগত চেষ্টার কথা ঐ রুকুগুলোতে লেখা আছে।
বিষয়-সংক্ষেপ:
(ক) সরুব্বাবিলের অধীনে বন্দীদের জেরুজালেমে ফেরা (১-৬ রুকু)
(খ) হযরত উযায়ের (আঃ)-এর অধীনে বন্দীদের জেরুজালেমে ফেরা (৭-১০ রুকু)
Currently Selected:
উযায়ের ভূমিকা: MBCL
Highlight
Share
Copy
Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in
Single Column : © The Bangladesh Bible Society, 2000
Double Column : © The Bangladesh Bible Society, 2006
উযায়ের ভূমিকা
ভূমিকা
উযায়ের নামে কিতাবটি হল বনি-ইসরাইলদের রূহানী বা ধর্মের ইতিহাস। উযায়ের শুরু হয়েছে সেখান থেকে যেখানে 2 খান্দাননামা শেষ হয়েছে। কতগুলো ব্যক্তিগত স্মৃতি কথা (৭:২৭-৯:১৫ আয়াত), বংশ-তালিকা ও দলিলপত্র একত্র করে কিতাবটি লেখা হয়েছে। এটির চার ভাগের তিন ভাগ হিব্রু ভাষায় লেখা, কিন্তু সরকারী দলিলপত্র লেখা হয়েছে আরামীয় ভাষায়- যা ছিল তখনকার সরকারী দলিলপত্র লিখবার ভাষা। যখন ব্যাবিলন সাম্রাজ্যের পতন হচ্ছিল এবং ইহুদীরা নিজেদের দেশে ফিরে আসছিল তখন উযায়ের লেখা হয়েছিল। ইহুদীদের প্রথম দল সরুব্বাবিলের পরিচালনায় প্যালেষ্টাইনে ফিরে এসেছিল (১-৬ রুকু)। শত্রুদের ভীষণ বাধার সামনে তারা কোরবানগাহ্ ও বায়তুল-মোকাদ্দস তৈরী করেছিল। তখন হযরত হগয় (আঃ) ও হযরত জাকারিয়া (আঃ) তাদের খুব উৎসাহ দিয়েছিলেন। ছয় ও সাত রুকুর মধ্যেকার সময়কাল ছিল ৫৮ বছর। সেই সময়ের মধ্যে রাণী ইষ্টেরের ঘটনা ঘটেছিল এবং দুনিয়ার ইতিহাসে লেখা মারাথন, থার্মোপীলি এবং সালামী নামে তিনটি বিখ্যাত যুদ্ধ হয়েছিল। ৪৫৮ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে হযরত উযায়ের (আঃ)-এর পরিচালনায় আর একদল ইহুদী বন্দীদশা থেকে জেরুজালেমে ফিরে এসেছিল (৭-১০ রুকু)। লোকদের সংশোধন করবার জন্য তাঁর ব্যক্তিগত চেষ্টার কথা ঐ রুকুগুলোতে লেখা আছে।
বিষয়-সংক্ষেপ:
(ক) সরুব্বাবিলের অধীনে বন্দীদের জেরুজালেমে ফেরা (১-৬ রুকু)
(খ) হযরত উযায়ের (আঃ)-এর অধীনে বন্দীদের জেরুজালেমে ফেরা (৭-১০ রুকু)
Currently Selected:
:
Highlight
Share
Copy
Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in
Single Column : © The Bangladesh Bible Society, 2000
Double Column : © The Bangladesh Bible Society, 2006