১ থিষলনীকীয় ভূমিকা

ভূমিকা
রোম সাম্রাজ্যের অন্তর্গত মাকিদনিয়া প্রদেশের প্রধান শাসনকেন্দ্র ছিল থিষলনীকী নগর। ফিলিপী হইতে চলিয়া আসিবার পর পৌল থিষলনীকীয় মণ্ডলী স্থাপন করেন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই পৌলকে স্থানীয় যিহূদীদের বিরোধিতার মুখোমুখি দাঁড়াইতে হয়। অযিহূদীদের মধ্যে পৌলের সাফল্য এবং যিহূদী ধর্ম সম্বন্ধে অযিহূদীদের অনুসন্ধিৎসা যিহূদীদের ঈর্ষান্বিত করিয়া তোলে। ফলে পৌল থিষলনীকী ত্যাগ করিয়া বিরয়াতে চলিয়া যাইতে বাধ্য হন। ইহার পর পৌল তাঁহার সাথী ও সহকর্মী তীমথিয়ের নিকট হইতে থিষলনীকীয় মণ্ডলী সম্পর্কে একটি বিবরণ পান।
এই বিবরণ পাইবার পর পৌল থিষলনীকীর ভক্তমণ্ডলীকে সাহস এবং সুনিশ্চিত আশ্বাস দিবার জন্য তাহাদের নিকটে প্রথম পত্রটি লিখেন। তাহাদের প্রেম ও বিশ্বাসের জন্য তিনি তাহাদের ধন্যবাদ জানান এবং তাহাদের সহিত থাকাকালে যেভাবে তিনি জীবন যাপন করিতেন, সেই কথা তাহাদের মনে করাইয়া দেন। তারপর খ্রীষ্টের পুনরাগমন সম্বন্ধে মণ্ডলীতে যে প্রশ্নের উদ্ভব হইয়াছিল, তিনি সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেন। প্রশ্নগুলি ছিল: খ্রীষ্টের পুনরাগমনের পূর্বে যে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের মৃত্যু হইয়াছে, তাহারা কি খ্রীষ্টের আগমনের পর অনন্ত জীবনের অংশীদার হইতে পারিবে? খ্রীষ্ট আবার কখন আসিবেন? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দানের সুযোগে পৌল খ্রীষ্টের পুনরাগমনের আশা লইয়া তাহাদের শান্তভাবে নীরবে কাজ করিয়া যাইবার উপদেশ দিয়াছিলেন।
বিষয়বস্তুর রূপরেখা:
ভূমিকা - ১:১
কৃতজ্ঞতা এবং প্রশংসা - ১:২—৩:১৩
খ্রীষ্টীয় জীবনাচরণ সম্বন্ধে পরামর্শ - ৪:১-১২
খ্রীষ্টের আগমন সম্বন্ধে নির্দেশ - ৪:১৩—৫:১১
সর্বশেষ পরামর্শ - ৫:১২-২২
উপসংহার - ৫:২৩-২৮

Markering

Delen

Kopiëren

None

Wil je jouw markerkingen op al je apparaten opslaan? Meld je aan of log in