কলসীয় ভূমিকা

ভূমিকা
কলসী শহরের খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীর নিকটে প্রেরিত পৌল এই পত্রখানি লিখিয়াছিলেন। ইফিষ নগরের পূর্বদিকে অবস্থিত কলসী এশিয়া মাইনরের একটি শহর। পৌল কলসী নগরের খ্রীষ্টীয় মণ্ডলী প্রতিষ্ঠা করেন নাই কিন্তু তাহা সত্ত্বেও মণ্ডলীটি এমন একটি অঞ্চলে অবস্থিত ছিল, যাহার জন্য তিনি দায়িত্ব অনুভব করিয়াছিলেন এবং সেই জন্য এশিয়াতে রোম সাম্রাজ্যের রাজধানী ইফিষ হইতে সেখানে খ্রীষ্টীয় কর্মী পাঠাইয়াছিলেন। পৌল জানিতে পারিয়াছিলেন যে, কলসী নগরের মণ্ডলীতে ভ্রান্ত শিক্ষকেরা ভক্তদের ভুল শিক্ষা দিয়া বিপথে পরিচালনা করিতেছে। তাহারা বলিতেছে, ঈশ্বরকে জানিতে হইলে এবং পরিত্রাণ লাভ করিতে হইলে ভক্তদেরকে কতকগুলি দৈবিক শক্তির উপাসনা করিতেই হইবে। ইহা ব্যতীত এই শিক্ষকেরা বলে যে, ভক্তদের বিশেষ আচার-অনুষ্ঠান, যেমন ত্বক্‌ছেদ সংস্কার পালন করা একান্ত কর্তব্য এবং খাদ্য গ্রহণ সম্বন্ধে বিধি-নিষেধ ও অন্যান্য ব্যাপার কঠোরভাবে পালন করা উচিত।
এই সমস্ত শিক্ষার প্রতিবাদ করিয়া প্রেরিত পৌল কলসী মণ্ডলীর ভক্তদের নিকটে প্রকৃত খ্রীষ্টীয় উপদেশ দিয়া পত্রখানি লিখেন। তাঁহার পত্রের মূল কথা ছিল, একমাত্র যীশু খ্রীষ্টই পূর্ণ পরিত্রাণ দান করিতে সক্ষম। অপর পক্ষে ঐ সমস্ত বিশ্বাস ও সংস্কার এবং আচার-অনুষ্ঠান ভক্তকে খ্রীষ্টের নিকট হইতে দূরে সরাইয়া লইয়া যায়। খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বর এই পৃথিবী সৃষ্টি করিয়াছেন এবং তাঁহারই মাধ্যমে ঈশ্বর তাঁহার সৃষ্টিকে নিজের নিকটে ফিরাইয়া আনিবার ব্যবস্থা করিয়াছেন। খ্রীষ্টের সহিত মিলনেই পৃথিবীর পরিত্রাণের আশা নিহিত রহিয়াছে। ইহার পর পৌল ভক্তদের নিকটে এই মহান শিক্ষা আপনাদের জীবনে বাস্তবায়িত করিবার অনুরোধ জানাইয়াছেন।
এখানে লক্ষণীয় বিষয় এই যে, যিনি কলসী মণ্ডলীর নিকটে পৌলের এই পত্র লইয়া গিয়াছিলেন, সেই তুখিকের সহিত ক্রীতদাস ওনীষিম গিয়াছিলেন, যাহার পক্ষ হইয়া পৌল ফিলীমনের নিকটে পত্র লিখিয়াছিলেন।
বিষয়বস্তুর রূপরেখা:
ভূমিকা - ১:১-8
প্রকৃতি এবং খ্রীষ্টের কাজ - ১:৯—২:১৯
খ্রীষ্টে নবজীবন - ২:২০—৪:৬
উপসংহার - ৪:৭-১৮

Pati Souliye

Pataje

Kopye

None

Ou vle gen souliye ou yo sere sou tout aparèy ou yo? Enskri oswa konekte