Vèsè popilè nan Bib la ki soti nan রোমীয় 1

Pataje

সুসমাচারের জন্য আমি গর্ববোধ করি কারণ এ হল ঈশ্বরের সেই শক্তি, যা সমস্ত ভক্তকে উদ্ধার করে। প্রথমে ইহুদী পরে অড়্যান্য সমস্ত জাতি এর দ্বারা উদ্ধার পায়।

মানুষের উদ্ধারের ঐশ্বরিক পন্থা এই সুসমাচারের মধ্য দিয়েই অভিব্যক্ত, এই পন্থা সর্বতোভাবে বিশ্বাসভিত্তিক। শাস্ত্রে এ কথা লেখা আছে, ‘বিশ্বাসের বলে যে ধার্মিক সেই বাঁচবে’।

তাঁর অদৃশ্য প্রকৃতি, অর্থাৎ তাঁর সনাতন শক্তিমত্তা এবং ঐশী সত্তা তাঁর সৃষ্ট সমস্ত বস্তুর মধ্যে সৃষ্টির পত্তন থেকেই সুস্পষ্টভাবে অভিব্যক্ত। কাজেই নিজেদের আচরণের সমর্থনে কোন কৈফিয়ৎ তাদের নেই।

ঈশ্বরকে জেনেও তারা তাঁর ঐশী মহিমাকে স্বীকৃতি দেয়নি, কিম্বা তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেনি। তাই তাদের সমস্ত চিন্তা অসারতায় পর্যবসিত হয়েছে এবং তাদের বিভ্রান্ত হৃদয় তমসাচ্ছন্ন হয়েছে।

তারা ঐশ্বরিক সত্যের পরিবর্তে মিথ্যাকে বরণ করেছে। সৃষ্টবস্তুর পূজা ও অর্চনায় আত্মনিয়োগ করেছে, বিমুখ হয়েছে স্বয়ং স্রষ্টার প্রতি —যিনি চিরআরাধ্য। আমেন।

যারা নিজেদের অধর্মের দ্বারা সত্যের প্রতিরোধ করে, সেই ভাগ্যহীন ও অধার্মিকদের উপর স্বর্গ থেকে ঈশ্বরের ক্রোধের দণ্ড নেমে আসছে।

এ জন্যই ঈশ্বর তাদের ঘৃণ্য রিপুর বশে সমর্পণ করেছেন। তাদের নারীরা স্বাভাবিক আচরণের পরিবর্তে অস্বাভাবিকভাবে দৈহিক লালসা পূরণ করেছে, আর পুরুষেরা অনুরূপভাবে স্বাভাবিক নারী সংসর্গ পরিহার করে সমকামিতার অনলে দগ্ধ হচ্ছে। পুরুষেরা পুরুষের সঙ্গে কুৎসিৎ আচরণে লিপ্ত এবং এই আচরণের যোগ্য প্রতিফল তাদের দেহে প্রকট হয়ে উঠেছে। তারা যেমন ঈশ্বরকে মান্য করার প্রয়োজন বোধ করেনি, তেমনি ঈশ্বর তাদের ভ্রষ্ট মতির বশে সমর্পণ করে তাদের অসঙ্গত কাজে রত হতে দিয়েছেন।

নিজেদের জ্ঞানী প্রতিপন্ন করতে গিয়এ তারা তাদের মূর্খতাই প্রকাশ করেছে এবং নশ্বর মানুষ, পশুপক্ষী ও সরীসৃপের প্রতিমূর্তির উপর অবিনশ্বর ঈশ্বরের মহিমা আরোপ করেছে।