YouVersion Logo
Search Icon

প্রকাশিত বাক্য 11

11
দু’জন সাক্ষী
1তারপর মাপকাঠির মত একটা নলের লাঠি আমাকে দেওয়া হল এবং বলা হল, “উপাসনা-ঘর ও বেদী মাপ এবং যারা সেখানে ঈশ্বরের উপাসনা করে তাদের সংখ্যা গোণ। 2কিন্তু উপাসনা-ঘরের বাইরে যে উঠান আছে ওটা বাদ দিয়ো, মেপো না, কারণ ওটা অযিহূদীদের দেওয়া হয়েছে। তারা বিয়াল্লিশ মাস ধরে পবিত্র শহরটা পায়ে মাড়াবে। 3কিন্তু আমি আমার দু’জন সাক্ষীকে এমন ক্ষমতা দেব যার ফলে তারা চট পরে এক হাজার দু’শো ষাট দিন ধরে নবী হিসাবে কথা বলবে।”
4সেই দু’জন সাক্ষী হলেন দু’টি জলপাই গাছ ও দু’টি বাতিদান, যাঁরা পৃথিবীর প্রভুর সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। 5কেউ যদি তাঁদের ক্ষতি করতে চায় তবে তাঁদের মুখ থেকে আগুন বের হয়ে সেই শত্রুদের পুড়িয়ে ফেলবে। যে কেউ তাঁদের ক্ষতি করতে চাইবে তাকে এইভাবে মরতে হবে। 6এই লোকেরা যতদিন নবী হিসাবে কথা বলবেন ততদিন যেন বৃষ্টি না হয় সেইজন্য আকাশ বন্ধ করে দেবার ক্ষমতা তাঁদের থাকবে। জলকে রক্ত করবার এবং যতবার ইচ্ছা ততবার যে কোন আঘাত দিয়ে পৃথিবীর ক্ষতি করবার ক্ষমতাও তাঁদের থাকবে।
7তাঁদের সাক্ষ্য দেওয়া শেষ হলে পর সেই অতল গর্ত থেকে একটা জন্তু উঠে এসে তাঁদের সংগে যুদ্ধ করবে এবং তাঁদের পরাজিত করে মেরে ফেলবে। 8তাঁদের প্রভুকে যে শহরে ক্রুশে দেওয়া হয়েছিল সেই মহা শহরের রাস্তায় তাঁদের দেহ পড়ে থাকবে। সেই শহরের নাম আসলে সদোম ও মিসর নয়, তবুও একই রকম বলে সেই শহরকে সদোম ও মিসর বলা হয়। 9তখন সব দেশ, বংশ, ভাষা ও জাতির মধ্য থেকে লোকেরা সাড়ে তিন দিন ধরে ঐ মৃত দেহগুলো দেখবে। 10তারা তাঁদের দেহগুলো কবর দিতে দেবে না। তাঁরা মারা গেছেন বলে যারা এই পৃথিবীর তারা খুশী হবে এবং আনন্দ করবে। লোকেরা একে অন্যের কাছে উপহার পাঠাবে, কারণ যারা এই পৃথিবীর তারা এই দু’জন নবীর দরুন কষ্ট পেয়েছিল।
11কিন্তু এই সাড়ে তিন দিন পরে ঈশ্বরের দেওয়া প্রাণবায়ু তাঁদের মধ্যে ঢুকল। তাতে তাঁরা পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়ালেন। তখন যারা তাঁদের দেখল তারা খুব ভয় পেল। 12পরে সেই দু’জন সাক্ষী স্বর্গ থেকে জোরে বলা এই কথা শুনলেন, “এখানে উঠে এস।” তখন তাঁরা তাঁদের শত্রুদের চোখের সামনেই একটা মেঘে করে স্বর্গে উঠে গেলেন।
13সেই সময় ভীষণ ভূমিকম্প হল এবং সেই শহরের দশ ভাগের এক ভাগ ভেংগে পড়ে গেল। সেই ভূমিকমেপ সাত হাজার লোক মারা গেল। তাতে বাকী সকলে ভয় পেয়ে স্বর্গের ঈশ্বরের গৌরব করতে লাগল।
14এইভাবে দ্বিতীয় বিপদ শেষ হল। দেখ, শীঘ্রই তৃতীয় বিপদ আসছে।
সপ্তম তূরী
15পরে সপ্তম স্বর্গদূত তাঁর তূরী বাজালেন। তখন স্বর্গে জোরে জোরে বলা হল, “জগতের রাজ্য এখন আমাদের প্রভু ও তাঁর মশীহের হয়েছে। 16তিনি চিরকাল ধরে রাজত্ব করবেন।” যে চব্বিশজন নেতা ঈশ্বরের সামনে তাঁদের সিংহাসনের উপর বসে ছিলেন তাঁরা উবুড় হয়ে ঈশ্বরকে প্রণাম করে বললেন, 17“সর্বশক্তিমান প্রভু ঈশ্বর, তুমি আছ এবং তুমি ছিলে। আমরা তোমাকে ধন্যবাদ দিই, কারণ তুমি তোমার মহা ক্ষমতা হাতে নিয়ে রাজত্ব করতে শুরু করেছ। 18সব জাতি রাগ করেছে, আর তোমার ক্রোধ প্রকাশের সময় হয়েছে। মৃতদের বিচার করবার সময় এসেছে, আর তোমার দাসদের, অর্থাৎ নবীদের ও তোমার লোকদের এবং ছোট-বড় সবাই যারা তোমাকে ভক্তি করে তাদের পুরস্কার দেবার সময় এসেছে। এছাড়া যারা পৃথিবীর ক্ষতি করছে, তাদের ধ্বংস করবার সময়ও এসেছে।”
19তারপর স্বর্গের উপাসনা-ঘরটি খোলা হল এবং সেখানে ঈশ্বরের ব্যবস্থা-সিন্দুকটি দেখা গেল। তখন বিদ্যুৎ চম্‌কাতে ও ভয়ংকর শব্দ হতে আর বাজ পড়তে এবং ভূমিকম্প ও ভীষণ শিলাবৃষ্টি হতে লাগল।

Highlight

Share

Copy

None

Want to have your highlights saved across all your devices? Sign up or sign in

YouVersion uses cookies to personalize your experience. By using our website, you accept our use of cookies as described in our Privacy Policy